বাজেট পেশের পরই আশঙ্কা করা হচ্ছিল, এবার আরও বাড়তে চলেছে জ্বালানির দাম। সেই আশঙ্কাই যেন সত্যি হচ্ছে। পরপর দু’দিন বৃদ্ধির ফলে ফের রেকর্ড উচ্চতায় পৌঁছে গিয়েছে পেট্রল এবং ডিজেলের মূল্য। শুক্রবার সকালেও দেশের বিভিন্ন শহরে পেট্রলের (Petrol) দাম গড়ে ২৬-৩৩ পয়সা বেড়েছে। ডিজেলের দাম বেড়েছে ২৯ থেকে ৩২ পয়সা। যার জেরে একাধিক শহরে পেট্রল-ডিজেলের মূল্য সর্বকালের সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
রাজধানী দিল্লিতে এদিন পেট্রলের দাম লিটারপ্রতি ৩০ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৮৬টাকা ৯৫ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের দাম ৭৬ টাকা ৮৩ পয়সা থেকে বেড়ে হয়েছে ৭৭ টাকা ১৩ পয়সা। মুম্বইয়ে পেট্রলের দাম ২৯ পয়সা বেড়ে হয়েছে ৯৩ টাকা ৪৯ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের (Diesel) দাম বেড়ে হয়েছে লিটারপ্রতি ৮৩টাকা ৯৯ পয়সা। শহর কলকাতায় আজ রেকর্ড গড়ে ডিজেলের দাম হয়েছে ৮০ টাকা ৭১ পয়সা। পেট্রলের দাম হয়েছে ৮৮টাকা ৩০ পয়সা। দুটি মুল্যই গতকালের থেকে ২৯ পয়সা করে বেড়েছে। চেন্নাইয়ে আজ লিটারপ্রতি পেট্রলের দাম ৩৬ পয়সা করে বেড়ে হয়েছে ৮৯টাকা ৩৯ পয়সা। একইভাবে ডিজেলের দাম হয়েছে ৮২টাকা ৩৩ পয়সা।
আন্তর্জাতিক বাজারে অশোধিত তেলের দাম নিয়ন্ত্রণে থাকা সত্বেও দেশে পেট্রল-ডিজেলের দাম বৃদ্ধির কারণ, কেন্দ্রের চাপানো অতিরিক্ত সেস এবং অন্তঃশুল্ক। সেই সঙ্গে রাজ্য সরকারগুলির বসানো শুল্ক তো রয়েইছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যেতে পারে গতকাল দেশে পেট্রলের বেসিক মূল্য ছিল মাত্র ২৯ টাকা ৩৪ পয়সা। তাঁর সঙ্গে কেন্দ্রের প্রায় ৩২ টাকা শুল্ক, রাজ্যের প্রায় ২০ টাকা ভ্যাট এবং বিক্রেতার কমিশন, সেস এসব মিলিয়ে মূল্য গিয়ে দাঁড়াচ্ছে সাধারণের ধরাছোঁয়ার বাঈরে। সম্প্রতি বাজেটে পেট্রল-ডিজেলের উপর কৃষি সেস বসিয়েছেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman)। পেট্রলে লিটারপ্রতি চার টাকা এবং ডিজেলে লিটারপ্রতি ২.৫ টাকা অতিরিক্ত সেস বসেছে। যদিও অর্থমন্ত্রকের দাবি ছিল, এই অতিরিক্ত সেসের প্রভাব সরাসরি সাধারণ মানুষের উপর পড়বে না। তা যাবে তেল বিক্রয়কারী সংস্থাগুলির পকেট থেকে। কিন্তু বস্তুত দেখা যাচ্ছে, বাজেট পেশের পর নিয়মিত দাম বাড়িয়েই যাচ্ছে সংস্থাগুলি। যার জেরে প্রায় প্রতিদিনই নতুন নতুন রেকর্ডে পৌঁছে যাচ্ছে জ্বালানি।