ইন্দোনেশিয়া সম্প্রতি পাম তেল রফতানির উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। এর জেরে জোর ধাক্কা খেয়েছে ভারত। বিশ্বের সর্বোচ্চ পাম তেল রফতানিকারক দেশ ভারত। এবং ভারতের মোট রফতানির প্রায় ৬০ শতাংশ আসে ইন্দোনেশিয়া থেকে। এই আবহে দেশে ভোজ্য তেলের ঘাটতি দেখা দেওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়েছিল। এদিকে চাহিদার তুলনায় ঘাটতি থাকলে ভোজ্য তেলের দামও যে আকাশ ছোঁবে, তা অঙ্ক কষে বোঝাতে হবে না আম জনতাকে। এই আবহে ভারতবাসীকে আস্বস্ত করে মুখ খুলল কেন্দ্রীয় সরকার। কেন্দ্র জানিয়ে দিল, দেশে ভোজ্য তেলের ঘাটতি নেই।
ভোজ্য তেল নিয়ে শঙ্কার আবহে ভোক্তা বিষয়ক মন্ত্রক বলেছে যে দেশে সমস্ত রকমের ভোজ্য তেল পর্যাপ্ত পরিমাণে মজুত রয়েছে। সরকারি হিসেবে বর্তমানে দেশে প্রায় ২১ লাখ মেট্রিক টন ভোজ্য তেল রয়েছে। এবং আরও ১২ লাখ মেট্রিক টন ট্রানজিটে রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। চলতি মাসেই সেই তেল দেশে পৌঁছাবে বলে দাবি কেন্দ্রের।
এদিকে ফেব্রুয়ারিতে প্রকাশিত কৃষি ও কৃষক কল্যাণ বিভাগের দ্বিতীয় অগ্রিম অনুমানের ভিত্তিতে চলতি অর্থবর্ষে ১২৬.১০ লাখ মেট্রিক টন সয়াবিন উৎপাদন হবে। যা গত বছরের উৎপাদনের চেয়ে ১৪ লাখ মেট্রিক টন বেশি। এদিকে এবার সর্ষের ফলনও ভালো হবে আশা করা হচ্ছে। এই আবহে খাদ্য ও পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন বিভাগ ভোজ্য তেলের মূল্য এবং ঘাটতির পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করছে। পাশাপাশি ভোক্তাদের স্বস্তি দিতে দেশীয় ভোজ্য তেলের দাম আরও কমানোর বিষয়ে আলোচনা করছে। এর জন্য দেশের প্রধান ভোজ্য তেল প্রক্রিয়াকরণ সমিতিগুলির সাথে নিয়মিত বৈঠক করা হচ্ছে সরকারের তরফে।