ডিজিটাল পেমেন্টের সাথে জড়িত আর্থিক জালিয়াতির অন্তত ৬১ হাজার অভিযোগ গত মাসে জমা পড়েছে সরকারের কাছে। তথ্য অনুসারে, এই ধরনের জালিয়াতি ক্রমেই বেড়ে চলেছে দেশে। এমনকি সরকারের আশঙ্কা, এই ধরনের জালিয়াতির ঘটনা যতটা না রেকর্ডে আসছে, তার থেকে আরও অনেক বেশি ঘটনা ঘটছে বাস্তবে।
অভিযোগগুলির অর্ধেকেরও বেশি ইউনিফাইড পেমেন্টস ইন্টারফেস (ইউপিআই) সম্পর্কিত। ইউপিআই নিয়ে মোট অভিযোগ জমা পড়েছে ৩৩ হাজার ৭১২টি। তারপরেই তালিকায় রয়েছে ডেবিট বা ক্রেডিট কার্ড বা মোবাইল ফোনের সিম কার্ড অদলবদল সংক্রান্ত প্রতারণার অভিযোগ। এই সংক্রান্ত অভিযোগের সংখ্যা ১০ হাজার ৮৯৮টি। বাকি ইন্টারনেট ব্যাঙ্কিং সম্পর্কিত জালিয়াতির ৭ হাজার ৯৯টি, জালিয়াতি বা ভয়েস ফিশিং কলের ৫ হাজার ৫০৩টি, ই-ওয়ালেট চুরির ৩ হাজার ১০টি, ডিম্যাট অ্যাকাউন্ট জালিয়াতির ৭৬৯টি এবং ইমেল টেকওভারের ১৮৭টি অভিযোগ জমা পড়েছে।
এদিকে মাসে ৬১ হাজার ১৭৮টি অভিযোগ জমা পড়েছে মানে দিনে প্রায় ২০০০টি ঘটনা ঘটেছে। সরকারি তথ্য বলছে, গত ২-৩ মাস ধরে গড়ে দৈনিক ২৫০০টি করে ইন্টারনেট জালিয়াতির অভিযোগ জমা পড়ছে তাদের কাছে। জুন মাসের ৯ তারিখে ৩৫০০ অভিযোগ জমা পড়ে জালিয়াতি সংক্রান্ত। ২০২১ সালে সেখানে গড়ে দৈনিক ১৫০০ অভিযোগ জমা পড়ত। সেই সংখ্যা ২০২২ সালে প্রায় দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছে। এই পরিসংখ্যানগুলি সরকারের সাইবার ক্রাইম পোর্টালে রিপোর্ট করা অভিযোগের উপর ভিত্তি করে। তবে সরকারের আশঙ্কা, এমন বহু ঘটনাই ঘটছে যার রেকর্ড সরকারের কাছে থাকছে না। তাই আশঙ্কা, যত সংখ্যক অভিযোগ জমা পড়ছে, তার থেকে অনেক বেশি সংখ্যক জালিয়াতির ঘটনা ঘটছে।
এই আবহে লেফটেন্যান্ট জেনারেল রাজেশ পান্তের নেতৃত্বে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা পরিষদের সচিবালয় গত সপ্তাহে বৃহস্পতিবার একটি বৈঠক করেছে। বৈঠকে জালিয়াতি বৃদ্ধির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করা হয়। বৈঠকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক, ন্যাশনাল পেমেন্ট কর্পোরেশন অফ ইন্ডিয়া (NPCI) এবং ভারতীয় রিজার্ভ ব্যাঙ্কের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।