রাজ্যে সেঞ্চুরি করল ডিজেলও, মূল্যবৃদ্ধির আশঙ্কায় জনগণ, বাকযুদ্ধে তৃণমূল–বিজেপি‌‌

পশ্চিমবঙ্গে সেঞ্চুরি হাঁকাল ডিজেলও। জুলাই মাসে সেঞ্চুরি করেছিল পেট্রোল। সুতরাং দুই জ্বালানিই এখন মহার্ঘ হয়ে উঠল রাজ্যবাসীর কাছে। এই বৃদ্ধির জেরে নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে অন্যান্য জিনিসপত্রের দাম বৃদ্ধি পাওয়ার আশঙ্কাও তৈরি হল। কারণ বহনের খরচ যদি বেড়ে যায় তাহলে তা জিনিসপত্রের উপর চাপিয়েই বিক্রি করা হবে। নাভিশ্বাস উঠবে মধ্যবিত্তের।

এদিন পুরুলিয়ার ঝালদা শহরে এক লিটার ডিজেলের দর পৌঁছয় ১০০.০৯ টাকায়। ঝালদা থানার অন্তর্গত খাটজুরি এবং স্কুল মোড়ে ডিজেলের দাম ছিল ১০০.১৪ টাকা। এই এলাকা দু’টি ঝাড়খণ্ড সংলগ্ন। শনিবার সকাল ৬টা থেকে কোচবিহারে ডিজেলের দাম লিটার পিছু ১০০.০৫ টাকা। আজ থেকেই আলিপুরদুয়ারেও ১০০ টাকা ছাড়াতে চলেছে ডিজেলের মূল্য। তেল সংস্থাগুলির সূত্রে খবর, শুক্রবার আলিপুরদুয়ারের বারবিশায় ভারত পেট্রোলিয়াম এবং ইন্ডিয়ান অয়েলের পাম্পে ডিজ়েলের দাম হয়েছে লিটার প্রতি যথাক্রমে ১০০ টাকা ৭ পয়সা ও ১০০ টাকা ৫ পয়সা।ট্রেন্ডিং স্টোরিজ

ইতিমধ্যেই বাজারে সবজি থেকে শুরু করে মাছ, মাংস, সবেরই আকাশছোঁয়া দাম বেড়েছে। এবার রাজ্যে ডিজেলের দামও লিটার প্রতি একশো টাকা ছাড়িয়ে গেল। ফলে আরও জিনিসপত্রের দাম বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। বারবিশা একেবারে অসমের সীমান্ত লাগোয়া এলাকা। তাই এখানে তেল পরিবহণের খরচ অনেকটা বেশি। তাই এখানে সবার আগে সেঞ্চুরি করল ডিজেল। শনিবার আলিপুরদুয়ারের আইওসি পাম্পেও দাম বেড়ে দাঁড়াচ্ছে লিটার প্রতি ১০০ টাকা ১৭ পয়সা। তবে এখান থেকে কলকাতা বেশি দূরে নয়। আইওসি পাম্পে শনিবার ডিজেলের দাম দাঁড়াচ্ছে লিটার প্রতি ৯৯ টাকা ৮ পয়সা।

কলকাতায় পেট্রোলের শনিবারের লিটার পিছু মূল্য হতে চলেছে ১০৭.৭৮ টাকা এবং ডিজেল ৯৯.০৮ টাকা। সুতরাং এখানেও সেঞ্চুরি হাঁকানোটা সময়ের অপেক্ষা। এদিন দিল্লি, মুম্বই এবং কলকাতায় পেট্রোলের দর ছিল যথাক্রমে ১০৬.৮৯ টাকা, ১১২.৭৮ টাকা এবং ১০৭.৪৪ টাকা। আর ওই তিন মেট্রো শহরে ডিজেলের দাম ছিল যথাক্রমে ৯৫.৬২ টাকা, ১০৩.৬৩ টাকা এবং ৯৮.৭৩ টাকা। শনিবার সকাল ৬টা থেকেই অবশ্য এই দাম আরও খানিকটা ঊর্ধ্বগামী।

এই নিয়ে রাজনীতিও তুঙ্গে উঠেছে। এই বিষয়ে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার বলেন, ‘‌পেট্রোল–ডিজ়েলের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য জিএসটি কাউন্সিলের বৈঠক ডাকা হয়েছিল। কিন্তু রাজ্য সরকারের তীব্র আপত্তিতেই তা সম্ভব হয়নি। তাই এই দাম বৃদ্ধির দায় রাজ্যের।’‌ পাল্টা তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ সুখেন্দুশেখর রায় বলেন, ‘সারা পৃথিবীতে যখন জ্বালানির দাম কমেছে, তখন কেন্দ্রীয় সরকার কোনও পদক্ষেপই করেনি। এখন নজর ঘোরাতে রাজ্যের উপর দায় চাপানো হচ্ছে।’‌

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.