সরকারি মুরগির মাংসের দাম একটু বেড়ে গেল। তবে তা বাড়ল পাঁচ বছর পাঁচ মাস পর। রাজ্য সরকার ন্যায্যমূল্যের সরকারি মুরগির মাংসের দাম একটু বাড়াল। এই নিয়ে অবশ্য বাজারে বিরাট কোনও প্রভাব পড়েনি। এমনিতেই নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের দাম বেড়ে গিয়েছে। পেট্রল, ডিজেল, কেরোসিন এবং রান্নার গ্যাসের দাম মারাত্মক বেড়ে গিয়েছে। চাল, ডাল, ভোজ্য তেল থেকে নুনের দাম পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছে। এবার বহু বছর পর বাড়ল সরকারি মুরগির মাংসের দাম।
কেমন দাম বাড়ল সরকারি মাংসের? আজ, শুক্রবার দেখা গেল ৫০০ গ্রাম ‘কারি কাট’ প্যাকেটের দাম ১৫ টাকা বেড়েছে। প্রাণিসম্পদ বিকাশ দফতরের অধীনে থাকা কাউন্টারে শুক্রবার থেকেই বর্ধিত দাম কার্যকর হয়েছে। ২০১৮ সালের এপ্রিল মাস থেকে হাফ কেজি এই মুরগির মাংসের প্যাকেটের দাম ছিল ৭০ টাকা। এদিন থেকে তা বেড়ে হয়েছে ৮৫ টাকা। আর এক কেজির ‘ওয়ান চিকেন’ প্যাকেটের দাম ১০ টাকা বেড়েছে। গোটা একটি চিকেন কেটে তৈরি এই প্যাকেটের দাম ছিল ১৮০ টাকা। এবার তা বেড়ে হয়েছে ১৯০ টাকা।
বিষয়টি ঠিক কী জানা যাচ্ছে? বাংলার মানুষজনকে ন্যায্যমূল্যে মুরগির মাংস খাওয়ানোর সংকল্প নিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর নির্দেশে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগম এই প্রক্রিয়াজাত মুরগির মাংস তৈরি করে। হরিণঘাটা, সুফল বাংলা, বাংলার ডেয়ারি–সহ সরকারি বিভিন্ন কাউন্টার থেকে তা মেলে। সুলভে কিনতে পেরে খুশি রাজ্যবাসী। উৎপাদন খরচ–সহ মূল্যবৃদ্ধির জেরে ৭০ টাকায় ৫০০ গ্রাম মাংস জনতাকে খাওয়াতে লোকসানের মুখ দেখতে হচ্ছিল নিগমকে। তবে দাম বৃদ্ধি সামান্য হলেও জনতাকে স্বস্তি দিতে বাজারদর থেকে এখনও অনেক কম দাম রাখা হচ্ছে। শুক্রবারের খোলাবাজারে মুরগির মাংস ২২০ থেকে ২৩০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।
ঠিক কী বলছেন সরকারি কর্তা? এই সরকারি মুরগির মাংসের দামবৃদ্ধি নিয়ে পশ্চিমবঙ্গ প্রাণিসম্পদ উন্নয়ন নিগমের ম্যানেজিং ডিরেক্টর ডঃ গৌরীশঙ্কর কোনার বলেন, ‘মুরগি চাষের খরচ অনেক বেড়েছে। পাখির খাবারের দামও লাগামছাড়া হয়েছে। তাই ৭০ টাকায় হাফ কেজি মুরগির মাংস তৈরি করতে লোকসান হচ্ছিল। তাই বাধ্য হয়ে দাম বাড়াতে হয়েছে। যদিও এই দাম খোলা বাজারের থেকে অনেক কম।’