গত কয়েকদিন ধরেই একশোর দোরগোড়ায় দাঁড়িয়ে রয়েছে পেট্রলের (Petrol) দাম। ডিজেলও তার ঠিক পিছনেই। এই অবস্থায় এক্সাইজ ডিউটি কমিয়ে পেট্রলের দামে রাশ টানতে চাইছে কেন্দ্র। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সরকারি তিন আধিকারিক সূত্রে মিলেছে এই খবর।
গত দশ মাসে অপরিশোধিত তেলের দাম কার্যত দ্বিগুণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তার জেরেই রোজ ঊর্ধ্বমুখী পেট্রল ও ডিজেলের (Diesel) দাম। বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারের সঙ্গে সাযুজ্য রেখেই দেশের বাজারে পেট্রোপণ্যের মূল্য নির্ধারিত হয়। কিন্তু খুচরো যে দামে সাধারণ মানুষ পেট্রল-ডিজেল বা অন্যান্য পণ্য কেনেন, তার প্রায় ৬০ শতাংশ থাকে নানা প্রকারের কর। বর্তমানে ভারত পেট্রোপণ্য ব্যবহারের তালিকায় বিশ্বে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। করোনা (Coronavirus) অতিমারীর সময় যখন দেশের অর্থনীতি মুখ থুবড়ে পড়ে, তখন মোদি সরকার এই করের অঙ্ক প্রায় দ্বিগুণ করে অর্থনীতির অবস্থা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করে। গত এক বছরে অবস্থাটা তাই আরেকটু সঙ্গীন হয়েছে সাধারণ মানুষের জন্য। এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রক দেশের কয়েকটি রাজ্য, কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রক ও তৈল বিপণনকারী সংস্থার সঙ্গে আলোচনায় বসতে চাইছে। যাতে করের বোঝা কমিয়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেওয়া যায় সাধারণ মানুষকে। সূত্র জানাচ্ছে, মার্চের মাঝামাঝি ছবিটা স্পষ্ট হয়ে যাবে। অপর একটি সূত্র বলছে, আন্তর্জাতিক বাজারে তৈল বিপণনকারীদের সংগঠন ‘ওপেক’-এর তরফেও তেলের দামে রাশ টানার চেষ্টা করা হচ্ছে।
দিনকয়েক আগেই কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণ (Nirmala Sitharaman) বলেন, ‘‘জ্বালানি তেলের দাম কমানোর জন্য রাজ্যগুলির সঙ্গে কথা বলছে কেন্দ্র। কবে সেটা কমবে, এখনই বলা যাচ্ছে না, তবে আলোচনা চলছে।’’ উল্লেখ্য, ক’দিন আগেই কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান পেট্রোপণ্যকে জিএসটি কাঠামোতে অন্তর্ভুক্ত করার দাবি তোলেন, যাতে রাজ্য থেকে রাজ্যের আলাদা বাড়তি করের বোঝা চেপে এর দামে তফাত না হয়। সব মিলিয়ে জ্বালানির দামের জ্বলুনি থেকে রক্ষা পেতে এবং দিতে চেষ্টা চলছে সব তরফে। ফল কবে মিলবে, তা অবশ্য বিশ বাঁও জলেই।