আজ সকাল ১১টায় বৈঠকে বসবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভা। সেই বৈঠকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার সম্প্রসারণ নিয়ে সিদ্ধান্তের পাশাপাশি নেওয়া হতে পারে আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত। কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা বা ডিএ সংক্রান্ত বড় সিদ্ধান্ত আজ নেওয়া হতে পারে কেন্দ্রের তরফে। উল্লেখ্য, করোনা অতিমারী আবহে গত প্রায় এক বছর কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা স্থগিত রাখা হয়েছিল।
উল্লেখ্য, সপ্তম পে কমিশন অনুযায়ী আগের ১৭ শতাংশ থেকে ডিএ বেড়ে ২৮ শতাংশ হতে পারে। এই ১১ শতাংশ বৃদ্ধির মধ্যে থাকছে ২০২০ সালের জানুয়ারি থেকে জুন ৩% বর্ধিত ডিএ। ধরা হচ্ছে, জুলাই থেকে ডিসেম্বরের ৪% বৃদ্ধি। তাছাড়া অন্তিম ত্রৈমাসিক অর্থাৎ ২০২১ সালের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত ৪% বর্ধিত ডিএ। ফলে সপ্তম পে কমিশনে ডিএ বাড়বে অনেকটাই।
এর আগে জুলাইতে ডিএ ফের চালু হওয়ার কথা উঠলেও পরে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রকের তরফে খারিজ করে দেওয়া হয়। একটি নথির ছবি সোশ্যাল মিডিয়াতে ভাইরাল হয়েছিল। সেই অফিস মেমোরব়্যান্ডামে উল্লেখ এমনকি বকেয়া ডিএ এবং ডিআর তিনটি ইনস্টলমেন্টে দেওয়া হবে বলে উল্লেখিত ছিল সেই নথিতে। করা হয় ১ জুলাই থেকে মহার্ঘভাতা এবং ডিয়ারনেস রিলিফ দেওয়া ফের চালু হবে। তবে সেই নথু ভুয়ো জানিয়ে টুইট করেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন।
প্রায় ৬০ লক্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মী আশা করে ছিলেন যে ১ জুলাই থেকে ডিএ বেড়ে দাঁড়াতে পারে ২৮ শতাংশ। কিন্তু আপাতত সেই বিষয়ে কেন্দ্রের তরফে এখনও সরকারিভাবে কিছু ঘোষণা করা হয়নি। এর আগে ২৬ জুন ক্যাবিনেট সেক্রেটারির নেতৃত্বে অর্থ মন্ত্রক ও জেসিএম-এর আধিকারিকদের বৈঠকর হয়। তাতেও কোনও চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনগুলির হিসাব অনুযায়ী, মূল্যবৃদ্ধির সূচকের ভিত্তিতে গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত তিন শতাংশ, জুলাই থেকে ডিসেম্বর পর্যন্ত চার শতাংশ এবং চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুন পর্যন্ত চার শতাংশ ডিএ বকেয়া আছে। তাই মাসিক ডিএ ১১ শতাংশ বাড়ানো হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছিল। এদিকে তিন দফায় কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বৃদ্ধি স্থগিত রাখায় বিজেপি সরকারকে আক্রমণ শানিয়েছে কংগ্রেস। কংগ্রেসের অভিযোগ, মহার্ঘভাতা নিয়ে যেভাবে কাজ করা হচ্ছে, তা বিভ্রান্তিকর এবং বিদ্বেষপরায়ণ।