৭০ লক্ষ ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য নাকি ফাঁস! ইউজারদের সমস্ত গোপন তথ্য ডার্ক ওয়েবে ফাঁস হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। এমনই এক মারাত্মক অভিযোগ সামনে এনেছে ইন্টারনেট সুরক্ষা গবেষকরা।
তারা জানাচ্ছেন যে, ভারতের প্রায় ৭০ লক্ষ ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ডধারীর নাম, ফোন নম্বর, ইমেল আইডি এবং আয়ের বিবরণ-সহ ব্যক্তিগত তথ্য নাকি ফাঁস হয়ে গিয়েছে। এই সমস্ত গোপন তথ্য ফাঁস হয়ে যাওয়াতে প্রশ্নের মুখে সাধারণ মানুষের ব্যাক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা।
সুরক্ষা গবেষক রাজশেখর রাজাহরিয়া জানিয়েছেন, ফাঁস করা তথ্যের মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীর নাম, ফোন নম্বর, ই–মেল রয়েছে। শুধু তাই নয়, সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি কোন সংস্থার কর্মী, তাঁর বার্ষিক আয় কত সমস্ত কিছুই ফাঁস হয়ে গিয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আর তা সমস্ত কিছুই ডার্ক ওয়েবে চলে গিয়েছে।
অন্যদিকে, ফাঁস হওয়া ডেটার আকার ২জিবি, এর মধ্যে রয়েছে ব্যবহারকারীর অ্যাকাউন্টের তথ্য এবং ব্যবহারকারীর সুইচ অন মোবাইল অ্যালার্ট আছে কি নেই। বিষয়টি ব্যাখ্যা করে রাজাহরিয়া বলেন, ‘এই তথ্য ২০১০ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যেকার। এটা স্ক্যামার ও হ্যাকারদের জন্য খুবই মূল্যবান কারণ তারা ফিশিং বা অন্যান্য হামলার জন্য ব্যক্তিগত যোগাযোগের বিশদ ব্যবহার করতে পারে।’ তবে ফাঁস হওয়া তথ্যে কার্ড নম্বর নেই বলেই আশ্বাস দিচ্ছেন গবেষকরা।
তবে এই বিষয়ে তাঁরা গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছেন। দেশের একটা বৃহৎ অংশের মানুষের কি কি তথ্য ফাঁস হয়েছে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
অন্যদিকে, গবেষকরা আরও জানাচ্ছেন যে, পাঁচ লক্ষ কার্ড ব্যবহারকারীদের প্যান নম্বরও ফাঁস হয়েছে। ফাঁস হওয়া অধিকাংশ তথ্যই সঠিক।
যদিও এটা এখনও যাচাই করে দেখা হয়নি যে ৭০ লক্ষ ব্যবহারকারীর ডেটা ফাঁসের অভিযোগ আদৌ ঠিক না ভুল। তবে ইন্টারনেট গবেষকরা এই তথ্যগুলি ক্রস চেক করে দেখেছেন এবং অধিকাংশ তথ্যই সঠিক।
রাজাহরিয়া বলেন, ‘আমার মনে হয় কেউ এই ডেটা বা লিঙ্ক ডার্ক ওয়েবে বিক্রি করেছে এবং পরে তা প্রকাশ্যে চলে আসে। আর্থিক তথ্য ইন্টারনেটে সবচেয়ে মূল্যবান তথ্য।’
তিনি মনে করছেন, তৃতীয় পক্ষের পরিষেবা সরবরাহকারীদের মাধ্যমে এটা ঘটতে পারে। ক্রেডিট অথবা ডেবিট কার্ড বিক্রির জন্য ব্যাঙ্কের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ কোনো সংস্থার মাধ্যমে এই তথ্য ফাঁস হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।