পাকিস্তান আজকাল আরব সাগরে সৈন্য অভ্যাস করছে। ওই যুদ্ধ অভ্যাসে পাকিস্তানের নৌসেনার কয়েকটি যুদ্ধ জাহাজ আর সাবমেরিন অংশ নিয়েছে। পাকিস্তানের গতিবিধিতে নজর রাখার জন্য ভারতও আরব সাগরের পশ্চিম সীমান্তে যুদ্ধ জাহাজ আর সার্ভিলেন্স এয়ারক্র্যাফট পাঠিয়ে দিয়েছে। আগামী কিছুদিন পর্যন্ত এই যুদ্ধ অভ্যাস চালাবে পাকিস্তান, আর এই অভ্যাসে তাঁরা নিজেদের ক্ষমতা গুলোকে একবার পরখ করে নেবে। আরেকদিকে ভারতীয় নৌসেনার সার্ভিলেন্স এয়ারক্র্যাফট আর সাবমেরিন পাকিস্তানের প্রতিটি গতিবিধির উপর নজর লাগিয়ে বসে আছে।
আপনাদের জানিয়ে রাখি, পুলওয়ামায় হওয়া জঙ্গি হামলার পর ভারত আর পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়ে যায়। এরপর ভারত পুলওয়ামা হামলার ১২ দিন পর ২৬ ফেব্রুয়ারি পাক অধিকৃত কাশ্মীরের বালাকোটে এয়ার স্ট্রাইক করে জইশ এ মোহম্মদ এর জঙ্গি ঘাঁটি গুলো গুঁড়িয়ে দিয়ে আসে।
জম্মু কাশ্মীর থেকে ৩৭০ ধারা তুলে দেওয়ার পর থেকেই পাকিস্তান বরাবর ভারতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে আসছে। আর এর জন্য পাকিস্তান সীমান্তে লাগাতার সেনার সংখ্যা বাড়িয়েই চলেছে। এছাড়াও পাকিস্তান বারবার সীমান্তে যুদ্ধ বিরতি লঙ্ঘন করছে। কিন্তু ভারতীয় সেনার পালটা জবাবে এখনো পর্যন্ত পাকিস্তানের ১১ জন সেনা মারা গেছে। ধ্বংস হয়েছে এক ডজনের উপরে সেনা ছাউনি। পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান লাগাতার কাশ্মীর ইস্যু আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে ভারতকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেছে। কিন্তু বারবার সেখানে মুখ পুড়িয়ে ফিরতে হচ্ছে পাকিস্তানকে। এমনকি পাক প্রধানমন্ত্রী নিজেও স্বীকার করেছেন যে, কাশ্মীর ইস্যু আন্তর্জাতিক মঞ্চে তুলে পাকিস্তান শুধু ব্যার্থতাই পেয়েছে।
আরেকদিকে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আর আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের বন্ধুত্ব নিয়ে পাকিস্তানি মিডিয়া পাক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে পরামর্শ দেয়। পাকিস্তানের সংবাদ মাধ্যম অনুযায়ী, ট্রাম্পের নজর ভারতের ভোটারদের উপর আছে। ইমরান খানের ডাল গলবে না সেখানে। দ্য ডন বুধবার তাঁদের খবরের কাগজে লেখে, ইমরান খান কাশ্মীর ইস্যু নিয়ে গোটা বিশ্বের নজর নিজের দিকে করতে চাইছেন। কিন্তু আন্তর্জাতিক মঞ্চে ওনাকে কেউ আর পাত্তা দিচ্ছেনা। হিউস্টনে হাউডি মোদী অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী আমেরিকার রাষ্ট্রপতি ডোনাল্ড ট্রাম্পের সামনে এও বলেছেন যে, মোদী সরকারের সবথেকে বড় উপলব্ধি হল কাশ্মীর সমস্যার সমাধান করা।
দ্য ডন পত্রিকায় আরও লেখা হয়, রাষ্ট্রপতি ট্রাম্প স্বয়ং ইসলামিক সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বললেন, এর মানে এটাই যে, এই অনুষ্ঠানের মাধ্যমে ভারতীয় ভোটারদের ট্রাম্প শিবিরে টেনে আনাই প্রধান লক্ষ্য ছিল। এর সাথে সাথে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আরও এক উঠতি শক্তি দেখলো বিশ্ব।
বাংলা.ইন্ডিয়ারাগ.কম