কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir) বান্দিপোরা (Bandipora) থেকে গ্রেপ্তার হওয়া লস্কর জঙ্গি আলতাফকে পাঠানো হল সাতদিনের এনআইএ হেফাজতে। সোমবার ব্যাঙ্কশালে বিশেষ এনআইএ (NIA) আদালতে শুনানি হয় আলতাফের।করোনার কারণে পুরোটাই অবশ্য ভারচুয়ালি আয়োজিত হয়। সেখানেই তাঁকে হেফাজতে নেওয়ার আবেদন জানান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী। তারপরই তাকে এনআইএ হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারপতি।
সম্প্রতি কাশ্মীরের বান্দিপুরায় তল্লাশি চালিয়ে এনআইএ গ্রেপ্তার করে লস্কর সদস্য আলতাফকে। এক বছর আগে ধৃত উত্তর ২৪ পরগনার (North 24 Parganas) বাসিন্দা কলেজছাত্রী তানিয়া পারভিনকে সোশ্যাল মিডিয়ায় মগজধোলাই করে এই আলতাফ। তানিয়া তার সদস্য হিসাবেই কাজ শুরু করেছিল। তদন্ত শুরু করে গোয়েন্দারা জানতে পারে, সাইবার নাশকতা বা ভার্চুয়াল যুদ্ধ শুরুর ছক কষছে লস্কর-ই-তৈবা। সরাসরি গিয়ে দেখা করে সদস্য নিয়োগের ঝুঁকি না নিয়ে এবার সোশ্যাল মিডিয়ায় সদস্য নিয়োগের উপরই গুরুত্ব দিচ্ছে পাকিস্তানের এই জঙ্গি সংগঠন। লস্কর এই পদ্ধতিতে নিয়োগের জন্য কয়েকজনকে দায়িত্ব দিয়েছে। তাদের মধ্যে আরও সাতজনের উপর বিশেষ নজর রয়েছে গোয়েন্দাদের। ইতিমধ্যেই দু’জন, কর্নাটক থেকে ইদ্রিশ ওরফে মুন্না ও কাশ্মীর থেকে আলতাফকে এনআইএ গ্রেপ্তার করেছে।
এরপর গত ১৭ এপ্রিল আলতাফকে ব্যাঙ্কশালে বিশেষ এনআইএ আদালতে তোলা হয়। তবে অভিযুক্ত জঙ্গির কোনও আইনজীবী আদালতে সওয়াল করেননি। এই সময় এনআইএ-র আইনজীবী অভিযুক্তকে সাতদিনের জন্য এনআইএ হেফাজতে রাখার আবেদন জানান। তবে বিচারক জানান, অভিযুক্তর কোনও আইনজীবী নেই, কিন্তু অভিযুক্তরও সপক্ষে কিছু বলার থাকতে পারে। এরপরই অভিযুক্ত জঙ্গি আলতাফকে বিচারক ১৯ এপ্রিল পর্যন্ত জেল হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
এরপর এদিন ভারচুয়াল শুনানিতে আলতাফের হয়ে সওয়াল করেন দীপঙ্কর পট্টনায়েক নামে এক আইনজীবী। সরকারের পর থেকেই তাঁকে দাঁড় করানো হয়। এদিকে, শুনানি চলাকালীন এনআইএ-র আইনজীবী দেবাশিস মল্লিক চৌধুরী বলেন, আলতাফের কাছ থেকে অনেক সিম কার্ড এবং মোবাইল পাওয়া গিয়েছে। সেগুলির মাধ্যমে অনেকের সঙ্গে যোগাযোগ চালাত আলতাফ। কাদের কাদের সঙ্গে তার যোগাযোগ ছিল, তা জানা দরকার। এছাড়া আলতাফকে জেরা করলে আরও তথ্য পাওয়া যাবে। আর তাই সাতদিনের জেল হেফাজতের দাবি জানান এনআইএ-র আইনজীবী। তারপরই বিচারক ওই রায় দিলেন।