পরপর গ্রেনেড হামলা শ্রীনগরের বাজার সংলগ্ন এলাকায় | উদ্দেশ্য লোকের মধ্যে ভীতি তৈরি করা| স্বাভাবিক জনজীবন বিপর্যস্ত করা | চারদিন আগে হওয়া গ্রেনেড হামলায় মূল অভিযুক্ত সহ তিন কাশ্মীরী পড়ুয়াকে গ্রেফতার করল জম্মু-কাশ্মীর পুলিশ | সাংবাদিক বৈঠকে উচ্চ পদস্থ আধিকারিকেরা জানান,এরা প্রত্যেকেই সক্রিয় ভাবে জৈশ-ই-মহম্মদের সঙ্গে যুক্ত| প্রত্যেকেই পড়ুয়া | মূল অভিযুক্ত শ্রীনগরের নিট কম্পিউটার প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে পাঠরত |
এদেরকে জেরা করে জানা যায়,জঙ্গী সংগঠনটি এলাকা অশান্ত করা জন্যই এদেরকে নিয়োগ করে | লালচকের মত এলাকা বেছে নেওয়া হয় কারণ সেখানে বহু মানুষের আনা গোনা | তাই পুলিশ বা নিরাপত্তারক্ষীদের পক্ষে জঙ্গী কার্যকলাপ শনাক্ত করা মুশকিল | সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ কর্তা জানান এদের প্রত্যেকের মোবাইল থেকেই জেহাদী অনেক ভিডিও ও নথি পাওয়া গিয়েছে |
তা থেকে মনে করা হচ্ছে এই গুলির মাধ্যমেই এদের মূল স্রোত থেকে আলাদা করে তাদেরকে কাজে লাগিয়েছে জঙ্গী সংগঠনটি | তাই কাশ্মীরের প্রতিটি বাবা মায়ের কাছে পুলিশের আবেদন যেন তারা নজরে রাখেন সন্তানদের মোবাইল ফোন গুলি | যে কোন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আদৌ তারা কাদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন সেটা জানাও সমান গুরুত্বপূ্র্ণ বলে মনে করছেন তারা |
এই তিন যুবকের মধ্যে দুজন দক্ষিণ কাশ্মীরে পুলওয়ামা ও এক জন সোপোরের বাসিন্দা বলে জানা গিয়েছে | প্রত্যেকের বয়স কুড়ির আশপাশে | ছন্দে ফেরা কাশ্মীরকে অশান্ত করতে চাওয়া এই যুবকদের সন্ধান পেতে পুলিশ তাদের সোর্স ছাড়াও উন্নত ডিজিটাল টেকনোলজিরও সাহায্য নিয়েছেন বলে দাবি করেন | জঙ্গীরা যতই অশান্ত করতে চাক ,পুলিশ ও নিরাপত্তা কর্মীরা সব রকম চ্যালেঞ্জ নিতে তৈরি বলেও এদিন সাংবাদিক বাঠকে বার্তা দেন ওই পদাধিকারী |