তিন তালাকের বিরুদ্ধে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করা ইশরাত জাহান (বর্তমানে তিনি বিজেপি নেত্রী) প্রাণ নাশের সঙ্কটে ভুগছেন। উনি একদিন আগে রাস্তায় নামাজ পড়ার বিরোধিতা করে বিজেপি নেতিত্বের সাথে হিজাব পড়ে রাস্তায় বসে হনুমান চালিশা পাঠ করেছিলেন। আর সেই কারণে ওনাকে এখন প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হচ্ছে। তিনি হাওড়ার গোলবাড়ি থানায় এই সংক্রান্ত ব্যাপারে ওনার শ্বশুর বাড়ির বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছেন। উনি লিখিত অভিযোগে জানিয়েছে যে, ওনার বাড়ির মেইল এবং ওনার শ্বশুর বাড়ির লোকজন হিজাব পড়ে হিন্দু ধর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়ার জন্য ওনার সাথে অভব্য আচরণ করে, এছাড়াও ওনাকে প্রাণে মারার হুমকিও দেয় তাঁরা।
জাহান বলেন, তিনি বুধবার ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন। সেই সময় গোলবাড়ি থানা এলাকায় প্রচুর পরিমাণে কট্টরপন্থী মানুষ ওনাকে ঘিরে ফেলে। গোলবাড়ি থানার ইনচার্জ জানান, অভিযোগ পাওয়ার পরেই এই ব্যাপারে তদন্ত শুরু করা হয়েছে। তদন্তের পর উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে।
আধিকারিক অনুযায়ী, ইশরাত জাহান নিজের প্রাণের সংশয় প্রকাশ করেছেন। উনি জানিয়েছেন যে, ছেলেকে স্কুল থেকে বাড়ি আনার সময় যা ঘটনা ওনার সাথে হয়েছে, সেটাতে উনি চরম চিন্তিত। ওনার সাথে যখন তখন বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে বলে আশঙ্কা জাহির করেছেন তিনি। এবং উনি পুলিশের থেকে সুরক্ষার আবেদনও করেছেন।
ইশরাত জাহান তাঁর অভিযোগে জানান, কিছু কট্টরপন্থী মানুষ তাঁর বাড়ি ঘর ঘিরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল। তাঁকে বারবার জিজ্ঞাসা করা হচ্ছিল যে, সে কেন হিজাব পড়ে হিন্দু ধর্মের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছে? এমনকি বাড়ির মালিক তাঁকে ঘর থেকে ধাক্কা দিয়ে বের করার চেষ্টা পর্যন্ত করেছে। ইশরাত বলেন, ‘আমি ধর্মনিরপেক্ষ, আর আমি যেই দেশে থাকি সেটাও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। যেকোন ধার্মিক অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া আমার গণতান্ত্রিক অধিকার। আমি দেশের দ্বায়িত্ববান নাগরিক হিসেবে আমার কর্তব্য পালন করেছি। আর এই কারণে আমাকে আমার শ্বশুর বাড়ির লোক এবং বাড়ির মালিকের থেকে প্রাণে মারার হুমকি দেওয়া হয়েছে।”