পশ্চিমি উত্তর প্রদেশে অপরাধ দমনের জন্য পুলিশ লাগাতার অভিযান চালিয়ে যাচ্ছে। একের পর এক এনকাউন্টার করে অপরাধীদের মনে চরম ভয় সৃষ্টি করেছে যোগীর পুলিশ। পশ্চিম উত্তর প্রদেশের মেরঠ পুলিশ এখনো পর্যন্ত দশ কুখ্যাত অপরাধীর এনকাউন্টার করে ওই জোনে নাম্বার ওয়ান হয়ে গেছে মেরঠ পুলিশ। উত্তর প্রদেশের সবথেকে বেশি এনকাউন্টার মেরঠ জোনের নয়টি জেলায় হয়েছে। ওই এনকাউন্টারে ৪৫ কুখ্যাত অপরাধীর মৃত্যু হয়েছে, আর ৮৫০ জনের পায়ে গুলি লেগেছে।
উত্তর প্রদেশে ২০১৭ সালে যোগী সরকার ক্ষমতায় এসেছিল। ক্ষমতায় আসার পরেই মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেওয়া নিদান দেন। আর এরপর মেরঠ জোনের পুলিশ সবথেকে বেশি এনকাউন্টার করে। পুলিশের এনকাউন্টারে অনেক অপরাধী খতম হয়েছে। যোগী সরকার ক্ষমতায় আসার পর, মেরঠে প্রথম এনকাউন্টার ২০১৭ এর ২৬ সেপ্টেম্বর হয়েছিল।
পুলিশের ওই এনকাউন্টারে ৫০ হাজারের ইনামি কুখ্যাত অপরাধী মন্সুর হাজারি খতম হয়েছিল। বৃহস্পতিবার মেরঠ পুলিশ লুঠপাট, তোলাবাজি আর লাভ জিহাদে ফাঁসিয়ে তিন হিন্দু মেয়ের ধর্ষণকারী শাকিল এবং তাঁর সঙ্গি ভুরাকে খতম করে।
মেরঠ জোনের মুজফরপুর, সাহারানপুর, বাগপত, শামলি, নয়ডা, গাজিয়াবাদ, হাপুর, বুন্দেলশহর এ বিগত ১০ দিনে ৪০ টি এনকাউন্টার হয়েছে। ওই এনকাউন্টারে ৩৬ অপরাধীর পায়ে গুলি লাগে, আর দুই অপরাধী পুলিশের গুলিতে খতম হয়। ৬২ জনকে গ্রেফতারও করা হয়েছে। শুক্রবার মেরঠ জোনের কার্যালয় থেকে এই রিপোর্ট রাজধানী লখনৌতে পাঠানো হয়েছে।