বুধবার সকাল থেকেই উত্তপ্ত জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলার টিকেন এলাকা। অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিদের সাথে একটানা গুলির লড়াই চলে সেনার। এনকাউন্টার শেষে নিকেশ করা যায় দুই জঙ্গিকে।
দক্ষিণ কাশ্মীরের টিকেন এলাকায় গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তল্লাশি অভিযান শুরু করে কাশ্মীর পুলিশ, সেনার ৫৫ রাষ্ট্রীয় রাইফেলস ও সিআরপিএফের যৌথ বাহিনী। এলাকায় লুকিয়ে রয়েছে জঙ্গি, এই খবর পেয়েই তল্লাশি অভিযান শুরু হয়।
সূত্র থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে একটি বাড়িকে ঘিরে ফেলে যৌথ বাহিনী। এরপরেই গুলি চালায় জঙ্গিরা। পাল্টা জবাব দেয় সেনাও। জানা যায় ওই বাড়িটিতে ২-৩জন জঙ্গি আশ্রয় নিয়েছিল। প্রায় পাঁচটি বাড়িকে ঘিরে ফেলা হয়। একাধিক রাউন্ড গুলি চলে। এনকাউন্টারের পরে দুই অজ্ঞাতপরিচয় জঙ্গিকে খতম করা সম্ভব হয়।
এক সাধারণ নাগরিক এই গুলি বিনিময়ের ঘটনার পরে আহত হয়েছেন বলে খবর। তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। পুলওয়ামার গোটা এলাকায় মোবাইল ইন্টারনেট পরিষেবা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, দিন কয়েক আগেই দিল্লি পুলিশের স্পেশাল সেলের আধিকারিকদের হাতে গ্রেফতার হয় ৫ জঙ্গি। নয়াদিল্লির শাকেরপুর এলাকা থেকে এনকাউন্টারের পর এদের গ্রেফতার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে একটা জঙ্গিদল দিল্লিতে অনুপ্রবেশ ঘটিয়েছে বলে খবর পেয়েছিল দিল্লি পুলিশ। ধৃত পাঁচ জঙ্গি ওই দলেরই সদস্য। তবে দলে ঠিক কতজন জঙ্গি ছিল, সেবিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। যে পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তার মধ্যে তিনজন জম্মু কাশ্মীরের বাসিন্দা। বাকি দুজন পঞ্জাবের বাসিন্দা বলে সূত্রের খবর।
রিপোর্ট বলছে স্পেশাল সেলের অফিসারদের সঙ্গে গুলি বিনিময়ের পরে জঙ্গিদের গ্রেফতার করা হয়। প্রচুর অস্ত্র ও অস্ত্র তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে তাদের থেকে। যে পাঁচজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, তাদের নাম প্রকাশ করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে ওই পাঁচজন হল সাব্বির আহমেদ, আয়ুব পাঠান, রিয়াজ রাঠার, গুরজিত সিং ও সুখদীপ সিং।