জঙ্গি হামলায় সোমবার সকালে অন-ডিউটিতে শহিদ তিন নিরাপত্তাবাহিনী কর্মী। দু’জন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা বাহিনীর এবং অন্যজন জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ। উপত্যকার রাজধানী শ্রীনগর থেকে ৫০ কিলোমিটার দূরে বারামুল্লায় এই ঘটনা ঘটেছে।
জানা গিয়েছে, সিআরপিএফ এবং জম্মু-কাশ্মীর পুলিশের যৌথ দল কৃরি চেকপোস্টে কর্মরত ছিলেন। সেই সময় হঠাতই নিরাপত্তাবাহিনীর উপর গুলি চালায় জঙ্গিরা। অতর্কিত এই হামলায় হঠাত করেই চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। জঙ্গিদের হঠাত এই হামলায় শহিদ হন তিন জওয়ান। জানা যায় ঘটনার পরেই সেখান থেকে চম্পট দেয় জঙ্গিরা।
আইজি বিজয় কুমার জানিয়েছেন, “আমরা তিনজন জওয়ানকে হারিয়েছি। ঘটনাস্থলে সঙ্গে সঙ্গে পৌঁছে যায় পুলিশ। আমরা আরও বিস্তারিত জানার চেষ্টা করছি”। অন্যদিকে, কাশ্মীর জোন পুলিশ ট্যুইট করে জানিয়েছে, “জঙ্গিরা বারামুল্লায় যৌথ নাকা পার্টির উপর গুলি চালিয়েছে। দু’জন সিআরপিএফ এবং একজন পুলিশ কর্মী আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে পরে তাঁর মৃত্যু হয়েছে। গোটা অঞ্চল ঘিরে ফেলা হয়েছে। চলছে তল্লাশি অভিযান”।
জম্মু ও কাশ্মীরে একসপ্তাহের মধ্যে এই নিয়ে তৃতীয়বার নিরাপত্তাবাহিনীর উপর হামলা চালাল জঙ্গিরা। ১৪ অগাস্ট দু’জন পুলিশকর্মী নিহট হয়েছেন এবং অন্য আরেকজন গুরুতরভাবে আহত হয়েছিলেন। শ্রীনগরের বাইরের অংশে নৌগাও এলাকায় হামলার শিকার হয় যৌথবাহিনী।
কাশ্মীর জোন পুলিশ জানিয়েছিল, “নৌগাও বাইপাসে জঙ্গিরা পুলিশের উপর এলোপাথাড়ি গুলিবর্ষণ করেছে। তিনজন আহত হয়েছে। তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এঁদের মধ্যে দু’জন শহিদ হয়েছেন”। জঙ্গি হামলার মুহূর্তের ছবি সিসিটিভি-তে ধরা পরেছে। সেখান থেকে পালাতে সক্ষম হয়েছে জঙ্গিরা।
একইভাবে অগাস্টের ১২ তারিখ সেনাবাহিনীর একটি ক্যুইক রিয়্যাকশন টিমের উপর হামলা চালানো হলে একজন জওয়ান আহত হয়েছেন। এই ঘটনাও ঘটেছে শ্রীনগর-বারামুল্লা হাইওয়ে লাগোয়া হাইগাম অঞ্চলে। এদিকে বড়সড় বিপদের হাত থেকে বাঁচল কাশ্মীর।
জম্মু কাশ্মীরের পুলওয়ামায় ব্রিজের নীচ থেকে উদ্ধার হল শক্তিশালী আইইডি বিস্ফোরক। পুলওয়ামা জেলার টুজান গ্রামের ব্রিজের নীচে এই আইইডি পোঁতা ছিল বলে জানা গিয়েছে। রবিবার রাতে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক উদ্ধার করে ভারতীয় সেনা। সঠিক সময়ে সেনার তল্লাশি প্রাণ বাঁচিয়েছে দুই টাউনের মানুষের।
এই ব্রিজ পুলওয়ামা জেলার সঙ্গে বুদগামের সংযোগও স্থাপন করছে। এই ব্রিজ দিয়েই অনেক সময় যাতায়াত করে সেনা কনভয়। ফলে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ব্রিজটি উড়িয়ে দিলে বিশাল ক্ষতির মুখে পড়ত কাশ্মীর, বলে পুলিশ সূত্রে খবর।