১৫০ বছরের রীতি, আগমনী সাজে সেজে উঠেছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে ‘নো ম্যানস ল্যান্ডে’র এই মন্দির

১৫০ বছর ধরে পুজো হয়ে আসছে ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তের মাঝের নো-ম্যানস ল্যান্ডের এই মন্দিরে। অসমের করিমগঞ্জের কাছে অবস্থিত এই মন্দিরটিতে ১৫০ বছর ধরে দুর্গাপুজো হয়ে আসছে। তবে দেশভাগের সময় মন্দিরটি কোনও দেশের সীমানায় পড়েনি।

আজকের নো-ম্যানস ল্যান্ডের যেই জমিতে মন্দিরটি দাঁড়িয়ে, এককালে তার মালিক ছিলেন নরেন্দ্র মালাকার নামক এখ জমিদার। ব্রিটিশ জমানায় এই মন্দির তৈরি করেন তিনি। ২০০৮ সালে এই এলাকায় বেড়া লাগানো হয়েছিল। এরপরে বিএসএফ এই মন্দিরটি ফের খুঁজে পায়।

পূজার সময়, বিএসএফ প্রতিদিন ভোর ৫টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত সীমান্তের গেট খুলে দেয় যেখানে শুধুমাত্র ভক্তদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। দায়িত্বপ্রাপ্ত বিএসএফের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘শুধু স্থানীয়রা নয়, আমাদের জওয়ানরাও এই মন্দিরে পুজো দিয়ে নবরাত্রি উদযাপন করেন। আমাদের বাহিনীতে ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের মানুষ আছে এবং এই মন্দির বেড়ার বাইরে সবাইকে এক করে। আমরা উৎসবের সময় কেবল ভক্তদের বেড়ার গেটের ওপারে যাওয়ার অনুমতি দিই।

স্থানীয় বাসিন্দা অপু মালাকার হিন্দুস্তান টাইমসকে বলেন, ‘আমরা গল্প শুনেছি যে ব্রিটিশ আমলে কলকাতা এবং ঢাকার শিল্পীরা এই দুর্গাপোজায় অংশ নিতেন। নরেন্দ্র মালাকার স্বাধীনতার কয়েক বছর পর মারা যান এবং পরিবার এই পুজো উদযাপনের আকার কমিয়ে দেয়। ১৯৯৪ সালে যখন হৃদয় রঞ্জন মালাকার মারা যান, তখন পরিবারের তরফে এই পুজো বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.