প্যালিনড্রোম নিয়ে কথা হবে আর শরৎচন্দ্র পণ্ডিতের কথা হবেনা,তা হয়না।দাদাঠাকুর সম্পাদিত ‘বিদূষক’ পত্রিকায় তিনি অনেক বাংলা প্যালিনড্রোম বাঙালিকে উপহার দিয়েছেন।
কাক কাঁদে কাঁক কা;
চেনা সে ছেলে বলেছে সে নাচে;
তাল বনে নেব লতা;
মার কথা থাক রমা;
রমা তো মামা তোমার;
চার সের চা;
বেনে তেল সলতে নেবে;
ক্ষীর রস সর রক্ষী;
কেবল ভুল বকে;
দাস কোথা থাকো সদা?
নিমাই খসে সেখ ইমানি;
থাক রবি কবির কথা,
বিরহে রাধা নয়ন ধারা হেরবি – ইত্যাদি হল দাদাঠাকুর সৃষ্ট অমর প্যালিনড্রোম।
“রাধা নাচে অচেনা ধারা
রাজন্যগণ তরঙ্গরত, নগণ্য জরা
কীলক-সঙ্গ নয়নঙ্গ সকল কী?
কীর্তন মঞ্চ ‘পরে পঞ্চম নর্তকী”
দাদাঠাকুরের লেখা এই কবিতার প্রতিটি লাইনই এক একটি প্যালিনড্রোম। আর শেষ লাইনটি তো সম্ভবত: বাংলায় সৃষ্ট সবচেয়ে জটিল প্যালিনড্রোম।