জগদ্ধাত্রী পুজোর দু’দিন (মহাষ্টমী ও মহানবমী) রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ শিথিল করল রাজ্য সরকার। তবে শুধুমাত্র নদিয়া এবং হুগলিতে সেই বিধিনিষেধ কার্যকর হবে। অন্যত্র রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত বিধিনিষেধ থাকবে।
মঙ্গলবার নবান্নের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানানো হয়েছে, জগদ্ধাত্রী পুজো উপলক্ষ্যে আগামী ১২ নভেম্বর (শুক্রবার) এবং ১৩ নভেম্বর (শনিবার) হুগলি এবং নদিয়ায় রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ শিথিল করা হচ্ছে। রাত ১১ টা থেকে ভোর পাঁচটা পর্যন্ত মানুষ এবং গাড়ি চলাচলে কোনও বিধিনিষেধ থাকবে না। বাকি জেলাগুলিতে যেমন বিধিনিষেধ আছে, তেমনই চলবে বলে নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে।
এমনিতে এবার দুর্গাপুজো, কালীপুজো এবং ছটপুজোয় রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ শিথিল করেছে রাজ্য সরকার। কিন্তু জগদ্ধাত্রী পুজোর ক্ষেত্রে সেরকম কোনও শিথিলতা দেওয়া হয়নি। তা নিয়ে একাংশের মধ্যে ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। চন্দননগরের মানুষের প্রশ্ন ছিল, ছটপুজোতেও বিধিনিষেধ শিথিল করা হল। তাহলে কি দোষ করল জগদ্ধাত্রী পুজো? সেই অসন্তোষের মধ্যেই জগদ্ধাত্রী পুজোর দু’দিন (মহাষ্টমী ও মহানবমী) রাত্রিকালীন বিধিনিষেধ তুলে নিল রাজ্য সরকার।
এমনিতে চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, চলতি বছরে চন্দননগরে ১৩২ টি এবং ভদ্রেশ্বরে ৬৩ টি জগদ্ধাত্রী পুজোর অনুমতি দেওয়া হয়েছে। চন্দননগর এবং ভদ্রেশ্বরে ‘নো এন্ট্রির’ পাশাপাশি করোনাভাইরাস সংক্রান্ত বিধিনিষেধ জারি থাকবে। আজ (৯ নভেম্বর) থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত চন্দননগর–ভদ্রেশ্বরে জিটি রোড নো এন্ট্রি থাকবে। তবে দুপুরের দিকে খানিকটা শিথিল করা হতে পারে। বিশেষ পাস ছাড়া কোনও যানবাহন জিটি রোড দিয়ে চন্দননগরে প্রবেশ করা যাবে না। এই বিষয়ে পুলিশ কমিশনার অর্ণব ঘোষ বলেন, ‘পুজোর দিনগুলিতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হচ্ছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার পদমর্যাদার ৮ জন, ডিসিপি পদমর্যাদার ১৩ জন এবং ইন্সপেক্টর পদমর্যাদার ২৬ জন পুলিশ আধিকারিক থাকছেন চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বরজুড়ে। এছাড়াও ১৫০ জন সাব-ইনস্পেক্টর, ৪৫০ জন কনস্টেবল, ২৫০ জন মহিলা কনস্টেবল এবং ৬০০ জন অস্থায়ী হোমগার্ড নিরাপত্তায় থাকবেন।’