Bhagwati Devi Mandir
Although this temple is called Bhagwati Devi Mandir, it is best known as Deul of Ichai Gosh. In the middle of the dense forest of Kankasar, there is a temple standing on the bank of the river Ajay. This temple is called as IchaiGosh’smandir. According to the legend’s story, Devpala was the king of Gaur at that time. And the feudal king of Trishtigarh, surrounded by the forest of Kankasar, was then Karnasena. IchaiGhaesh, the son of Some Gosh, proclaimed himself an independent king by establishing a separate Dhekurgarh within Trishtigarh. Then a fight broke out with Karna Sen. And Karna Sen lost the battle. This high peak Deul built IchaiGosh as a symbol of victory. This temple of RekhDeul architecture is made of little terracotta brick in the ground.This temple is one of the antiquities of our West Bengal. The temple is about eighty feet high, and faces east. There are idols of various Gods and Goddesses around the DeulGatra, but not made with the traditional terracotta. According to Indian archeology, the temple was built in the late Middle Ages. Now let’s enlighten a little towards the history of this temple.
The name of IchaiGosh is also mentioned in DharmamangalKavya. Ichai was a independent dairyman. His real name was Ishwar Gosh. His father was Dhabal Gosh. He formed his own army with the weakest sections of the society like Bauri, Muchi, Hamri, Bagdi, Dome etc. That is why in the minds of the people of this society, the memory of IchaiGoshis still awakened. According to history, the kingdom began to demolish during the reign of Pala king Mahipala. Many feudal lords revolted, of which IchaiGosh was one of them. He defeated the local king Karn Sen and formed a vast area of Burdwan district called Gopbhumi or Dhekurgarh. He built this beautiful temple probably for the purpose of Goddess Mata Bhagwati.
Much later, a huge Shivling was left in this temple by a local zamindar. Since then, the locals consider it as a Shiva temple. There was the presence of Kirtimukh idol in this Deul, which is the speciality of this Kirtimukh Shiva temple as it is looks like a monster. In SkandhaPurana, the demon of Jalandhar swallows his own body by the command of lord Shiva, then Shiva gives him the name Kirtimukh or ‘Face of glory’. This temple looks like the Orissa Peak Temple. There are 5 steps in the temple. The fact that, this temple has been renovated many times at different time period, which can be seen by looking at different types of brick samples. Impossibly beautiful dancing dancers and celebrity statues are one of the main attractions of this Deul. The whole area adjacent to this Deul is locally known as Kandunedanga. And it is also known as Dhekurgarh or Trishtigarh. Eventually it is believed that the name Dhekurgarh probably came from the metal artists called Dhekra or Dhekaru who once lived there.
The temple is presently located at MouzaGourangpur in Bankati Gram Panchayat area of Kankasa Thana in West Burdwan. After the renovation work, the form of Amalak at the top of Deul has completely changed, a long circular dome has been built. This famous temple is facing destruction, and may lost in the abyss of time.
ভগবতী দেবী মন্দির :
এই মন্দিরটি নামে ভগবতী দেবী মন্দির হলেও এটি সর্বাধিক পরিচিত ইছাই ঘোষের দেউল নামে। কাঁকসার ঘন জঙ্গলের মাঝে অজয় নদীর ধার ঘেঁষে মাথা তুলে দাঁড়িয়ে আছে একটি সুউচ্চ মন্দির। ইছাই ঘোষের মন্দির হিসাবেই যেটি লোকের মুখে মুখে ঘোরে। প্রচলিত কাহিনী অনুযায়ী গৌড়ের রাজা তখন দেবপাল। আর কাঁকসার জঙ্গল ঘেরা ত্রিষষ্টিগড়ের সামন্ত রাজা তখন কর্ণসেন। তার আশ্রিত সোমঘোষের পুত্র ইছাই ঘোষ ত্রিষষ্টিগড়ের মধ্যেই আলাদা ঢেকুরগড় স্থাপন করে নিজেকে স্বাধীন রাজা হিসাবে ঘোষণা করেন। তারপর যুদ্ধ বাধে কর্ণ সেনের সঙ্গে। এবং কর্ণ সেন হেরে যান। জয়ের প্রতীক হিসাবে ইছাই ঘোষ নির্মাণ করেন এই সুউচ্চ শিখর দেউল। পোড়া মাটির ছোটো আকৃতির ইঁটে তৈরী এই রেখ দেউল স্থাপত্যের এই মন্দিরটি। আমাদের পশ্চিম বঙ্গের অন্যতম এক পুরাকীর্তি এই মন্দিরটি। মন্দিরটি প্রায় আশিফুট উচ্চতা বিশিষ্ট, এবং পূর্বমুখী। দেউল গাত্রের চারিদিকেই নানা দেব দেবীর মূর্তি তবে সেগুলো প্রচলিত টেরাকোটার নয়। ভারতীয় পুরাতত্ত্ব অনুযায়ী দেউলটি গড়ে তোলা হয়েছিল মধ্য যুগের শেষ দিকে। এবার একটু এই মন্দিরের ইতিহাসের দিকে আলোকপাত করা যাক।
ধর্মমঙ্গল কাব্যে ইছাই ঘোষের উল্লেখ পাওয়া যায়। ইছাই ছিলেন গোয়ালা কিন্তু স্বাধীনচেতা। তার আসল নাম ছিল ঈশ্বর ঘোষ। তার পিতার নাম ছিল ধবল ঘোষ। বাউরি, মুচি, হাঁড়ি, বাগদী, ডোম ইত্যাদি সমাজের দুর্বলতম শ্রেণীর মানুষদের নিয়ে তিনি গড়ে তুলেছিলেন তার নিজস্ব সেনাবাহিনী। এই সমাজের মানুষজনের মনে তাই এখনো ইছাই ঘোষের স্মৃতি জাগরুক। ইতিহাস বলে পাল রাজা মহীপালের সময় রাজ্যের ভাঙনের সূচনা হয়। অনেক সামন্ত রাজারা বিদ্রোহ করেন যার মধ্যে ইছাই ঘোষ অন্যতম। তিনি স্থানীয় রাজা কর্ণসেনকে পরাজিত করে, বর্ধমান জেলার এক বিস্তীর্ন অঞ্চল নিয়ে গড়ে তোলেন গোপভূমি বা ঢেকুরগড়। তিনি এই অতিব সুন্দর দেউলটি সম্ভবত মাতা ভগবতী দেবীর উদ্দেশ্যে নির্মাণ করেন।
এরও অনেক পরে এই মন্দিরটির মধ্যে একটি সুবিশাল শিবলিঙ্গ কোন এক স্থানীয় জমিদার রেখে দেন। সেই থেকেই স্থানীয়রা এটিকে শিবমন্দির হিসাবে গণ্য করেন। এই দেউলের মধ্যে কীর্তিমুখ মূর্তির উপস্থিতি ছিল, এবং রাক্ষসের মত দেখতে এই কীর্তিমুখ শিব মন্দিরেরই একটি বিশেষত্ব। স্কন্ধ পুরাণে আছে, শিবের আদেশে জলন্ধর রাক্ষস নিজের শরীরকে নিজে গিলে ফেলেন, তখন শিব তার নাম দেন কীর্তিমুখ বা ‘Face of glory’। এই মন্দিরটি দেখতে অনেকটা ওড়িশা শিখর মন্দিরের ধাঁচের। মন্দিরটিতে ৫টি ধাপ দেখা যায়। বিভিন্ন সময়ে বহুবার যে এই মন্দিরের সংস্কার হয়েছে তা বোঝা যায় আলাদা ভাবে বিভিন্ন রকমের ইটের নমুনা দেখে। অসম্ভব সুন্দর নৃত্যরতা নর্তকী এবং কীর্তিমুখ মূর্তি এই দেউলের অন্যতম প্রধান আকর্ষন। এই দেউল সংলগ্ন সমগ্র অঞ্চলটি স্থানীয় ভাবে কাঁদুনেডাঙ্গা নামে পরিচিত। আবার অনেকের কাছে পরিচিত ঢেকুরগড় বা ত্রিষষ্টিগড় নামেও। মনে করা হয় ঢেকুরগড় নামটি সম্ভবত একদা এখানে বসবাসকারী ঢোকরা বা ঢেকারু নামক ধাতু শিল্পীদের কাছ থেকেই এসেছে।
এই মন্দিরটি বর্তমানে পশ্চিম বর্ধমানের কাঁকসা থানার, বনকাটি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকার মৌজা গৌরাঙ্গপুরে অবস্থিত। সংস্কার কার্যের পর দেউল শীর্ষের আমলকের রূপ পুরো পালটে গেছে, দীর্ঘ এক গোল গম্বুজ বানানো হয়েছে। ধ্বংসের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে আছে ইতিহাস প্রসিদ্ধ এই মন্দিরটি, কালের অতল গর্ভে হারিয়ে যাওয়া হয়ত শুধুমাত্র সময়ের অপেক্ষা।
This piece has been authored by Sajal Mondal and Mrighankhi Das, for a joint initiative by Baarta Today and the Indic Collective.