Bilingual – মনের মন্দিরে ৫ : তমলুকের বর্গভীমা মন্দির – The Bargabhima Temple in Tamluk

The Bargabhima Temple in Tamluk

The Mahapeeth of the extinct glory of the Bengalis is the ancient city of Tamralipta which is now known as Tamluk. And the headquarter city of East Midnapore district of West Bengal is this historic Tamralipta or Tamluk city. And the centerpiece of this city is mother Bargabhima. The worship of Goddess Bargabhima has been going on here for centuries in the form of Shakti SwarupiniAdyashaktiMahamaya. According to some people, she is also known as Bhimrupa or BhairabKapali. Although almost everything in the past has been destroyed, this huge temple still stands tall today in its glory.
Earlier as Brahmapuran, Tamralipta for Bargabhima was famous as a prominent Siddhapeeth. In ancient times, when DevadidevMahadev killed Daksha Prajapati, the son of Brahma, in Daksha Yagya, as a result of Brahma murder, the head of Daksha, whose body was dismembered, fell into the hands of Mahadev. Mahadev danced wildly without being able to separate it from his hands in any way, and even though he could not separate it from his hands, he continued to travel to different pilgrimages of the world. However, since Daksha’s head was not severed from his hand, he was compelled to approach Vishnu. Then Vishnu said:
“অহংতেকথয়িষ্যামিযত্রনশ্যতিপাতকংতত্রগত্বাক্ষণামুক্তঃপাপাদ্ধর্গোভবিষ্যসি।।’’
That is to say, if one goes there, the living being is freed from sin in a short time, and all sins are annihilated. Saying this, Vishnu said:
আস্তিভারতবর্ষস্যদক্ষিণস্যাংমহাপুরী,তমোলিপ্তংসমাখ্যাতংগূঢ়ঃতীর্থবরংবসেত্।তত্রস্নাত্বাচিরাদেবসম্যগেষ্যসিমত্পুরীংজগামতীর্থরাজস্যদর্শনার্থংমহাশয়।।”
That is, in the south of India there is a great shrine called Tamalipta (Tamralipta), in which the secret shrine resides. After bathing there, people goes to Baikunth. So you go there to visit Tirtharaj. Upon hearing this, Mahadev became engrossed in copper and bathed in the Sarsini between the two temples of Vishnu Narayana, thus Daksha’s head were free from his hand.
The height of this Deul is about 60 feet in the style of Orissa architecture. There is a lot of terracotta work on the walls of the temple. In the sanctum sanctorum of the temple, there is a square idol made of black stone in the form of Goddess Ugratara. According to the ancient Puran, after leaving Sati’s body in Daksha Yagya, Vishnu’s chakra was broken and the left leg came to this place. And since then, the Goddess Bargabhima has been worshiped in Tamluk as one of the 51 seats. It is difficult to estimate the age of this ancient temple. Because this temple was established by the copper-clad king of the peacock dynasty of Tamluk, which is mentioned in the Mahabharata. It is said that at that time, by the order of the king, a poor fisherman’s wife,used to come to the royal family to give live sholfish. One day this question arose in the mind of the king, that how the fisherman’s wife giveshol fish throughout the year. Everything is known as soon as the king pressed her.She said that there is a fenced well in the forest, and from there he sprinkled water and brought the deadfish alive to the royal court. According to the fisherman’s wife, the king then went to the forest and saw the idol of UgrataraRupi Devi Bargabhima. Then there he set up the statue of the Devi.
According to historical documents and legends, when the Hindus of Bengal were facing the devastation of Kalapahar, the destruction of anti-Hindu idols and temple destroyers like Kalapahar stopped at this mother’s temple. Mahasayadig, the worshiper of the present Goddess, has a piece of document written in Persian, which is known as ‘BadshahiPanj’. NagatDurantaKalapahar entered Tamralipta in Bengal after the conquest of Odishsa in 1567- 68 AD. He became powerless after seeing this Goddess and wrote this historical document. The legendary mix story is wonderful and thrilling. Kalapahar was the commander of Suleiman Karnani. On the way to OdishaKalapahardestroyed temple and debduel structures, and moving ahead towards Rupnarayanriver atBengal. After camping on the bank, Kalapahar proceeded alone towards the temple of Bargabhima. Kalapahar came and stood at the door of the temple of the Goddess.The soldiers who sent him to destroy the temple were stunned enough whilethey return to the tent. When they came to the temple, and saw Kalapahar, the general of Suleiman Karnani, sleeping under the feet of Goddess Bargabhima. The sculptor Kalapahar could not destroy the first and only idol in his life, but the idol is still lit in the temple of Tamluk every evening. kalapahar was probably present around 1260 during Jalal Shah’s time.
The servants of the temple says, that religion means dharma, arth, Kama and moksha, and the mother is named after giving these four classes. Here the mother is worshiped according to the blue tantra. Every year, on the day of puja, the mother is decorated in royal attire and the puja is performed with great pomp.
On such ordinary days of the year, the mother is bathed at4 o’clock at the morning and decorated with gold ornaments. In annyabhoge, along with various other types of food, shol fish is also dedicated to the mother. Devotees also come to the temple with palm, ole, kachu and shol fish to fulfill their mother’s desires. People of different religions also come to this temple. For ages, this mother has been worshiped as the presiding deity of Tamluk. In the past, there was no shaktipuja in this area. Later shaktipuja was held in this district but all of themhad to take the permission from Bargabhima.
This west facing temple is divided into four parts like many other temples. The first is the main temple or large deul, where the idol of the goddess stands. The second is the antral or yogamandapa. Devotees visit the Goddessstanding over here. In this narrow space, eight to ten people can stand. The third is the Jagmahan or yoga Temple, where sometimesyogya was performed. And the fourth part is the natmandir built much later. As all the three sides of the temple are open for chanting of names, verses and other small religious ceremonies are performed here.Twenty-one stairs came down from the temple to the street. This temple is built in the style of “RekhDeul”. In Tamluk and surrounding areas, this mother was worshiped as a very awaken Goddess. There is a well in the temple and it is said that if a childless woman gets up very early in the morning and doesn’t seeing anyone’s face, if she picks up whatever comes up from the temple well with her hands that could be a stone or a piece of brick. And thentie with her hair and hang it from the tree, then her desire will be fulfilled. Thousands of devotees come to this temple every day just see the Goddess.

তমলুকের বর্গভীমা মন্দির

বাঙালীর বিলুপ্ত মহিমার মহাপীঠ হল প্রাচীন নগরী তাম্রলিপ্ত যা বর্তমানে তমলুক নামে পরিচিত। আর পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার সদর শহর এই ঐতিহাসিক তাম্রলিপ্ত বা তমলুক শহর। আর এই শহরের মধ্যমণি হচ্ছেন মা বর্গভীমা। কয়েক শতাব্দী ধরেই শক্তি স্বরূপিণী আদ্যাশক্তি মহামায়া রূপে এখানে দেবী বর্গভীমার আরাধনা চলে আসছে। কারো কারো মতে তিনি ভীমরূপা বা ভৈরব কপালী নামেও পরিচিত। অতীতের প্রায় সব কিছুই ধ্বংসের মুখে চলে গেলেও স্বমহিমায় এই সুবিশাল মন্দির আজ ও মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে

ব্রহ্মপুরাণ হিসাবে আগে বর্গভীমার জন্য তাম্রলিপ্ত একটি বিশিষ্ট সিদ্ধপীঠ হিসেবে প্রকীর্তিত ছিল। পুরাকালে দেবাদিদেব মহাদেব দক্ষযজ্ঞে ব্রহ্মার পুত্র দক্ষ প্রজাপতিকে নিহত করলে ব্রহ্মহত্যার ফলস্বরূপ শরীর বিশ্লিষ্ট দক্ষের মাথা মহাদেবের হাতে সংসৃষ্ট হয়। মহাদেব কোনোপ্রকারেই একে নিজের হাত থেকে বিচ্ছিন্ন না করতে পেরে উদ্দাম নৃত্য করতে থাকেন, তাতেও হাত থেকে বিচ্ছিন্ন করতে না পেরে পৃথিবীর বিভিন্ন তীর্থে পরিভ্রমণ করতে থাকেন। কিন্তু, দক্ষের মাথা তাঁর হাত থেকে কিছুতেই বিশ্লিষ্ট না হওয়ায় তিনি বাধ্য হয়ে বিষ্ণুর নিকটে উপস্থিত হলেন। তখন বিষ্ণু বললেন :

অহং তে কথয়িষ্যামি যত্র নশ্যতি পাতকং
তত্র গত্বা ক্ষণামুক্তঃ পাপাদ্ধর্গো ভবিষ্যসি
।।


অর্থাৎ সেখানে গমন করলে জীব ক্ষণকাল মধ্যে পাপ থেকে মুক্ত হয়, এবং সকল পাপ বিনষ্ট হয়, তোমায় সে স্থানের মাহাত্ম্য বলব। এই বলে বিষ্ণু বললেন :

“ আস্তি ভারতবর্ষস্য দক্ষিণস্যাং মহাপুরী,
তমোলিপ্তং সমাখ্যাতং গূঢ়ঃ তীর্থ বরং বসেত্।
তত্র স্নাত্বা চিরাদেব সম্যগেষ্যসি মত্পুরীং
জগাম তীর্থরাজস্য দর্শনার্থং মহাশয়।।


অর্থাৎ ভারতবর্ষের দক্ষিণে তমোলিপ্ত (তাম্রলিপ্ত) নামে মহাতীর্থ আছে, তাতে গূঢ়তীর্থ বাস করে। সেখানে স্নান করলে লোকে বৈকুন্ঠে গমন করে। অতএব আপনি তীর্থরাজের দর্শনের জন্য সেখানে যান। মহাদেব একথা ষুনেই তাম্রলিপ্ত হয়ে বর্গভীমা ও বিষ্ণু নারায়ণের মন্দির দুটির মধ্যবর্তী সরসীনীরে অবগাহন করলে দক্ষ শির তাঁর হাত থেকে মুক্ত হল।

ওড়িশি স্থাপত্যের আদলে এই দেউলের উচ্চতা প্রায় ৬০ ফুট। মন্দিরের দেওয়ালে টেরাকোটার অজস্র কাজ। তার মধ্যেই মন্দিরের গর্ভগৃহে কালো পাথরের তৈরী বর্গভীমা মূর্তি বিরাজ করছে দেবী উগ্রতারা রূপে। প্রাচীন পুরাণ অনুযায়ী দক্ষযজ্ঞে সতীর দেহ ত্যাগের পর বিষ্ণুর সুদর্শন চক্রে খণ্ডিত হয়ে বাম পায়ের গোড়ালি এই স্থানে এসে পড়ে। আর সেই থেকেই একান্ন পীঠের অন্যতম পীঠ হিসাবে তমলুকে দেবী বর্গভীমা রূপে পূজিতা হয়ে আসছেন। প্রাচীন এই মন্দিরের বয়স কত তা আন্দাজ করা বেশ মুস্কিল। কারণ মহাভারতে উল্লিখিত তমলুকের ময়ূর বংশীয় তাম্রধ্বজ রাজাই নাকি এই মন্দিরটি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। জনশ্রুতি আছে সে সময় নাকি রাজার আদেশে এক জন দরিদ্র ধীবর পত্নী রোজ ওই রাজ পরিবারে জ্যান্ত শোল মাছ দিতে আসতেন। বছরের সারা সময় ধরে ওই ধীবর পত্নী কিভাবে জ্যান্ত শোল মাছ দেন একদিন রাজার মনে এই প্রশ্ন জাগে। রাজা চেপে ধরতেই জানা যায় সব কথা। তিনি জানান জঙ্গলে একটি ঘেরা কূপ আছে, আর সেখান থেকেই জল ছিটিয়ে রোজ মরা শোল মাছ জ্যান্ত করে তিমি নিয়ে আসেন রাজ দরবারে। সেই ধীবর পত্নীর কথামত তখন রাজা ওই জঙ্গলে গিয়ে দেখেন উগ্রতারা রূপী দেবী বর্গভীমার মূর্তি। সেখানেই তখন তিনি ওই মায়ের মূর্তি স্থাপন করেন

ইতিহাসের দলিল ও প্রচলিত জনশ্রুতি অনুযায়ী, বঙ্গদেশের হিন্দু যখন কালাপাহাড়ের ভয়ানক ধংসলীলার সম্মুখিন, ঠিক তখন কালাপাহাড়ের মত ভয়ানক হিন্দুবিদ্বেষী মূর্তি ও মন্দিরনাশকের নাশকতাও থেমে গিয়েছিল এই মায়ের মন্দিরে এসে। বর্তমান দেবীর উপাসক মহাশয়দিগের নিকট একখন্ড পারসিক ভাষায় লিখিত দলিল রয়েছে, যেটা ‘বাদশাহী পঞ্জ’ বলে খ্যাত। ১৫৬৭-৬৮ খ্রিস্টাব্দ নাগত দুরন্ত কালাপাহাড় উড়িষ্যা বিজয়ের পর বঙ্গদেশের তাম্রলিপ্তে প্রবেশ করেছেন, তিনি এই দেবীকে দর্শন করে শক্তিহীন হয়ে পড়েন এবং এই ঐতিহাসিক দলিল রচনা করেন। কিংবদন্তী মেশা কাহিনী বিস্ময়কর, লোমহর্ষক। কালাপাহাড় সুলেমান করণানির সেনাপতি ছিলেন।উড়িষ্যা অভিযান কালে কালাপাহাড় মন্দির ও দেবদেউল ধ্বংস করে বঙ্গদেশে এগিয়ে চলেছেন রূপনারায়ণের দিকে। তটে শিবির খাঁটিয়ে বর্গভীমার মন্দিরের দিকে একা এগিয়ে চললেন কালাপাহাড়। মন্দিরের দেবীগৃহের দুয়ারে এসে দাঁড়ালেন কালাপাহাড়। তারপর মন্দির ধ্বংস করে না তাঁবুতে না ফেরার তাঁবুর পাঠান সৈনিকরা স্তম্ভিত হন। তাঁরা মন্দিরে এসে দেখেন দেবী বর্গভীমার পদতলে আশ্রয় নিয়ে ঘুমিয়ে পড়েছেন সুলেমান করণানির সেনাপতি কালাপাহাড়। মূর্তিনাশক কালাপাহাড় জীবনে প্রথম ও একমাত্র মূর্তিকে ধ্বংস করতে এসেও ধ্বংস করতে পারেন নি, সেই মূর্তি আজও তমলুকের মন্দিরে আরতির আলোকে প্রতি সন্ধ্যায় দীপ্ত হয়ে ওঠে।কালাপাহাড় সম্ভবত জালাল সাহের সময় 1260-এর দিকে বর্তমান ছিলেন

মন্দিরের সেবায়েত বলেন ধর্ম অর্থ কাম ও মোক্ষ–এই চারটি বর্গ দান করেন বলেই মায়ের এই রূপ নামকরণ। এখানে মায়ের আরাধনা হয় নীল তন্ত্র মতে। প্রত্যেক বছর কালী পুজোর দিন এখানে রাজ বেশে মাকে সাজানো হয় এবং খুব ধুমধাম করে পুজো করা হয়।

বছরের এমনি সাধারণ দিনগুলিতে মাকে ভোর চারটেয় স্নান করিয়ে স্বর্ণালঙ্কারে সাজানো হয়। অন্নভোগে অন্যান্য নানা প্রকারের পদের পাশাপাশি মায়ের জন্য নিবেদিত হয় শোল মাছের ঝোল। ভক্তরাও মাকে তাদের মনের বাসনা পূরণের লক্ষ্যে তাল, ওল, কচু এবং শোল মাছ নিয়ে মন্দিরে হাজির হন। ভিন্ন ধর্মের মানুষ জনও আসেন এই মন্দিরে। যুগ যুগ ধরে তমলুকের অধিষ্ঠাত্রী দেবী রূপে এই মা বর্গভীমার পুজো হয়ে আসছে। অতীতে এই চত্বরে কোথাও শক্তিপুজোর চল ছিল না। পরবর্তীতে এই জেলায় শক্তিপুজোর চল হলেও সমস্ত শক্তিপুজোর অনুমতি নিতে হয় মা বর্গভীমার কাছ থেকে।

পশ্চিমমুখী এই মন্দিরটি অন্যান্য অনেক মন্দিরের মতই চারটি ভাগে বিভক্ত। প্রথমটি মূল মন্দির বা বড় দেউল, যেখানে দেবী মূর্তি দণ্ডায়মান। দ্বিতীয়টি অন্তরাল বা যোগ মণ্ডপ। এখানে দাঁড়িয়েই ভক্তরা দেবী দর্শন করেন। অপ্রশস্ত এই স্থানে বড় জোর আট দশ জন লোক দাঁড়াতে পারে। তৃতীয়টি জগমোহন বা যজ্ঞমন্দির, এক সময়ে এখানে হোমযজ্ঞ হত। এবং চতুর্থ অংশটি অনেক পরে নির্মিত নাটমন্দির। এই নাটমন্দিরের তিন দিকই উন্মুক্ত হওয়ায় নাম সঙ্কীর্তন, পালাগান, পদাবলী এবং অন্যান্য ছোটখাট ধর্মীয় অনুষ্ঠান এখানেই সম্পন্ন হয়। একুশটি সিঁড়ি মন্দির থেকে নেমে রাস্তায় এসে পড়েছে। এই মন্দিরটি “রেখ দেউল” রীতিতে নির্মিত। তমলুক তথা পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে এই মা বর্গভীমা অত্যান্ত জাগ্রত দেবী বলেই উপাসিত হন। এই মন্দির চত্বরে একটি কূপ আছে এবং কথিত আছে যে কোন নিসন্তান মহিলা যদি খুব ভোর বেলা উঠে কারো মুখ না দেখে মন্দিরের কূপে হাত দিয়ে পাথর কিম্বা ইটের টুকরো যাই হাতে উঠে আসে সেটাই তুলে এনে যদি নিজের মাথার চুল দিয়ে বেঁধে গাছের গায়ে ঝুলিয়ে দিয়ে এসে মায়ের মন্দিরে প্রণাম করলে তার মনস্কামনা পূর্ণ হয়। জাগ্রত এই মন্দির দর্শনে প্রতিদিন হাজার হাজার ভক্তের ভীড় হয়।

This piece has been authored by Sajal Mondal and Mrighankhi Das, for a joint initiative by Baarta Today and the Indic Collective.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.