আজ গোবর্ধন পূজা । কার্তিকের শুক্লা প্রতিপদ। কালীপূজা বা দীপান্বিতা অমাবস্যার পরদিন পালিত হয়। গোবর্ধন একটি পর্বতের নাম, মথুরা থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত। তীব্র বর্ষণ তথা দেবরাজ ইন্দ্রের কোপ থেকে সেখানকার মানুষকে রক্ষা করতে শ্রীকৃষ্ণ নিজেই কড়ে আঙুল দিয়ে সেই পাহাড় ধারণ করেছিলেন। তাতে ছাতার মতো, তার তলায় রক্ষা পেলেন অসংখ্য মানুষ, এবং তাদের গবাদিপশু। সেই কাহিনি স্মরণ করেই গোবর্ধন পূজা আজও অনুষ্ঠিত হয়। এটা আসলে ভগবান কৃষ্ণেরই পূজা।
এদিন অনেকানেক মন্দিরে অনুষ্ঠিত হয় অন্নকূট পূজা। অর্থাৎ পূজার নৈবেদ্যরূপ অন্ন দিয়েই পর্বতাকৃতি এক অবয়ব নির্মিত হয় এবং দেবতাকে নিবেদন করা হয়।
পুরাণে কোথায় দেখি নি আমি, কিন্তু অনুমান করতে পারি, তীব্র বর্ষণে মানুষকে যেমন আশ্রয় দিয়েছিলেন ভগবান কৃষ্ণ, তেমনই হয়তো তাদের ভোজনের জন্য অন্নের ব্যবস্থাও করেছিলেন। আজ যেমন ‘কমিউনিটি কিচেন’ কথাটা শুনি। এত মানুষের জন্য খাবার, অনেক খাবার, তাই চূড়ার মতো করে ভাত রাখা হল, দেখাতে তা একটি পাহাড়েরই ক্ষুদ্র রূপ।
প্রাণের দেবতা মানুষের প্রাণ বাঁচিয়েছেন, তাই এক ধন্যবাদাত্মক অনুষ্ঠান গোবর্ধন পূজা। অনেক জায়গায় গোবর দিয়ে তৈরি হয় গো-মূর্তি, তার পূজাও হয়।
@কচ