বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যেই থাকবে যজ্ঞ করার জায়গা। ধ্যানের জন্যও নির্দিষ্ট জায়গা বরাদ্দ হবে। ক্যাম্পাসে মাইকে বাজবে বৈদিক মন্ত্র। গুরুগ্রামে এ হেন বিশ্ববিদ্যালয়ই খুলছে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। আগামী শিক্ষাবর্ষ থেকে পঠনপাঠন শুরু হবে।
এতদিন দেশির বিভিন্ন জায়গায় রাষ্ট্রীয় স্বয়ং সেবক পরিচালিত স্কুল এবং কলেজ ছিল। এই প্রথম বিশ্ববিদ্যালয় চালু করছে তারা। উদ্দেশ্য, তরুণ সমাজকে বেদে দীক্ষিত করা। ভারতকে আবার ‘বিশ্বগুরু’ রূপে প্রতিষ্ঠিত করা। বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম অশোক সিঙ্ঘল বেদ বিজ্ঞান এবং প্রৌদ্যোগিকি বিশ্ববিদ্যালয়। গত ২০ বছর ধরে বিশ্বহিন্দু পরিষদের কার্যকরি সভাপতি রয়েছেন অশোক সিঙ্ঘল। রাম জন্মভূমি আন্দোলনের সামনের সারিতে ছিলেন। তাঁর নামেই বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম রাখা হয়েছে। প্রাচীন ভারতে বৈদিক রীতি মেনে যেভাবে পঠনপাঠন চলত, এই বিশ্ববিদ্যালয়েও সেভাবেই পড়াশোনা করানো হবে। পরিবেশেও থাকবে বৈদিক প্রভাব। প্রাচীন কালে গাছের নীচে বসেই ছাত্রদের পড়াতেন মুনি–ঋষিরা। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে একইভাবে গাছের নীচেই মাঝেমধ্যে পঠনপাঠন হবে। সকাল এবং সন্ধেবেলা ক্যাম্পাসে মাইকে বাজবে গীতার স্লোক এবং উপনিষদ। চারটি বেদের জন্য চারটি তলা নির্দিষ্ট থাকবে। সেখানে অডিও–ভিস্যুয়াল মাধ্যমে বেদের স্লোক বাজবে।
বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বিশ্ববিদ্যালয়ের গরুদের জন্য নির্দিষ্ট জায়গা থাকাটাই স্বাভাবিক। ক্যাম্পাসের ভেতরে থাকবে গোশালা। নাম সুরভি সদন। মন্দিরও থাকবে। প্রথম শিক্ষাবর্ষে ২০টি বিষয় পড়ানো হবে। কৃষি তন্ত্রম, বাস্তুতন্ত্রম (স্থাপত্যবিদ্যা), পরিবেশ বিদ্যা, লিপি বিজ্ঞান, যুদ্ধবিদ্যা, দেশীয় নিরাপত্তা, গণিত। এছাড়াও হত্যাশাস্ত্র, আয়ুর্বেদ, নর্মদা ভক্তি শাস্ত্রের মতো বিষয়ও থাকবে।
তথসূত্র – নিউজপোল