Bilingual – মনের মন্দিরে ৩ : বলরামপুরের জৈন মন্দির – পুরুলিয়া – Jain Temple at Balrampur, Purulia

Jain Temple at Balrampur, Purulia

Balrampur village, which is 7 km away from Purulia town.  And in the temple area of​​this village there is a large beautiful Shikhar temple built between 1650 and 1700. The foundation of the temple, which is called Talapattan, was ruined due to its long time disregards. The ornaments of the temple, which are said to be ornamented with various beautiful paintings or sculptures, were also worn out.
The carvings of the temples built in this contemporary period in Purulia district were considered to be the greatest ornaments in Asia. The parts of the head of this temple which are called Becky, Amalak, the flagpole are no more, they are lost by the time.


In 2013, the temple was renovated by the initiative of an organization of the Jain community called ‘Digambar Jain TirthaSanrakshaniMahasabha’. In this temple, as before, the ‘talapattan’ i.e. the foundation part could not be removed from the outside, after the renovation, the foundation land of 5 feet height has been made. And because of this the ‘fence’ part around the temple is covered.  This temple faces the south part.The door is two and a half feet long and about 6 feet high. This door has been rebuilt in front of the entrance of the temple.  The sanctum sanctorum of the temple is very beautiful. The square sanctum is 6 feet long and 10 feet high. The seat inside the sanctum is 6 feet by 6 feet.  There is a niche on the east and the west wall of this sanctum sanctorum.There is a meditative idol of a Tirthankara in the lion seat of this temple, although it is unknown that which Tirthankara is that. There is a 1 ft / 2 ft meditative Tirthankara idol on the side wall of the temple. The height of the interior of this temple is about 50 feet. The boundary part of the temple is tri-shaped. The ornaments on all sides of the temple are admirable. In fact, it is the ornamentation and decoration of the ancient temples that makes the difference.  Unfortunately, the skull part of this temple is no more.  As a result, “Becky, Khapri, Dhawajadand, Amalak” are no more.  This temple is built in the same brick style as other temples built in the medieval style of the entire Purulia region.


The shade of the temple is covered with a banyan tree in the cool attic.  Although it is not an ancient one, this banyan tree is 10 or 12 years old, yet its stalks are matched to soak the visitors in the coolness of its shade. All the young and old people of the village around this temple come to the attic of this temple in search of coolness in a hot summer afternoon and seek refuge in the enchantment of the shadow of this tree. Now a man named JagadishBaury is in charge of the care and service of this temple. He lives in front of the temple. His collaborations, his thorough history will surely inform the incoming visitors.

বলরামপুরের জৈন মন্দির – পুরুলিয়া

পুরুলিয়া শহর থেকে ৭ কিমি দুরের গ্রাম ছোট বলরামপুর। আর এই গ্রামের মন্দির পাড়ায় আনুমানিক ১৬৫০ থেকে ১৭০০ সালের মধ্যে নির্মিত একটি বৃহতাকৃতির সুন্দর শিখর মন্দির আছে। মন্দিরটির ভিত্তিভূমি যেটাকে বলা হয় তলাপত্তন সেই অংশটি দীর্ঘদিন বিনা সংস্কারে পড়ে থাকার কারণে নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। মন্দিরগাত্রে নানা ধরনের সুন্দর সুন্দর ছবি অথবা মূর্তি সম্বলিত কারুকার্য যেটাকে বলা হয় মন্দিরের অলঙ্করণ সেগুলিও জীর্ণ হয়ে ক্ষয়ে গিয়েছিল।

পুরুলিয়া জেলায় এই সমসাময়িক সময়ে নির্মিত মন্দির সমূহের গাত্রের কারুকার্য এশিয়ার মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ অলঙ্করণ বলে পরিগণিত হত। এই মন্দিরের মস্তকের অংশগুলি যেগুলিকে বলা হয় বেকি, আমলক, ধ্বজদণ্ড এগুলো এখন আর নেই, কালের অতল তলে হারিয়ে গেছে সেই কবেই।

২০১৩ সালে জৈন সম্প্রদায়ের ‘দিগম্বর জৈন তীর্থ সংরক্ষণী মহাসভা’ নামের একটি সংগঠনের উদ্যোগে এই মন্দিরের সংস্কার করা হয়েছে। এই মন্দিরে যেমন আগে ‘তলাপত্তন’ অর্থাৎ ভিত অংশটি বাইরে থেকে বোঝা যেত না, নূতন করে সংস্কারের পরে ৫ফুট উচ্চতার ভিত্তি ভূমি তৈরী হয়েছে। এবং এই কারণে মন্দিরের চারপাশের যে ‘বেড়’ অংশটি থাকে সেটা ঢেকে গিয়েছে। এই মন্দিরটি দক্ষিণ মুখী। দরজার দৈর্ঘ্য আড়াই ফুট এবং উচ্চতা প্রায় ৬ ফুট। মন্দিরের প্রবেশ পথের সম্মুখ অংশে এই দরজাটি নূতন করে তৈরী হয়েছে। মন্দিরের গর্ভগৃহটি খুব সুন্দর। বর্গাকৃতি এই গর্ভগৃহের দৈর্ঘ্য ৬ ফুট এবং উচ্চতা ১০ ফুট। এই গর্ভগৃহের ভেতরে যে আসনটি আছে সেটি ৬ ফুট বাই ৬ ফুটের। এই গর্ভগৃহের পূর্ব দিকের দেওয়ালে এবং পশ্চিম দিকের দেওয়ালে একটি করে কুলুঙ্গি আছে। এই মন্দিরের সিংহ আসনে একজন তীর্থঙ্করের ধ্যনমগ্ন মুর্তি আছে, যদিও সেটি কোন তীর্থঙ্করের সেটি বোঝা যাচ্ছে না। মন্দির গাত্রের পার্শ্বের দেওয়ালে একটি ১ ফুট /২ফুটের ধ্যানমগ্ন তীর্থঙ্করের প্রতিমা গাঁথা আছে। এই মন্দিরের অভ্যন্তরের উচ্চতা প্রায় ৫০ ফুট। মন্দিরের গণ্ডী অংশটি ত্রিরথাকৃতির। মন্দিরের সকল পার্শ্বের অঙ্গসজ্জা, অলঙ্করণ মনোগ্রাহী। আসলে প্রাচীন মন্দিরসমূহের অলঙ্করণ এবং অঙ্গসজ্জাতেই সৌন্দর্যের তারতম্য ঘটায়। দুর্ভাগ্যবশত এই মন্দিরের মস্তক অংশটি এখন আর নেই। ফলে “বেকি, খপরী, ধ্বজদণ্ড, আমলক” এই অংশগুলিও এখন আর নেই। এই মন্দিরটি সমগ্র পুরুলিয়া অঞ্চলের মধ্যযুগীয় রীতিমালায় নির্মিত অন্যান্য মন্দিরের মতই ইটের গাঁথনীশৈলীতে তৈরী।

মন্দিরের ছায়া সুশীতল চাতালটিকে ছায়াময় করে আচ্ছাদিত করে রেখেছে একটি বটবৃক্ষ। যদিও এটি প্রাচীন বট বৃক্ষ নয়, এই বট গাছটির বয়স খুব বেশী হলে ১০ অথবা ১২ বছর তবুও তার ডালপালা মেলে তৈরী হয়ে আছে আগত ভক্ত দর্শনার্থীদেরকে তার ছায়ার শীতলতায় সিক্ত করার জন্য। এই মন্দিরের আশে পাশের গ্রামের আবাল বৃদ্ধ বনিতা সকলেই গ্রীষ্মের তপ্ত দুপুরে এক টুকরো শীতলতার সন্ধানে এই মন্দিরের চাতালে এসে আশ্রয় খোঁজে এবং বট কুমার তার ছায়ার মায়াজালে আবিষ্ট করে তাদের।

এখন এই মন্দিরটির পরিচর্যার এবং সেবায়েতের দায়িত্বে আছেন জগদীশ বাউরি নামের একজন। মন্দিরের সামনের পাড়াতেই ওঁর নিবাস। তার সহযোগিতা, তার পুঙ্খানুপুঙ্খ ইতিহাস বর্ণন আগত ভক্ত দর্শককে মোহিত করবেই

This piece has been authored by Sajal Mondal and Mrighankhi Das, for a joint initiative by Baarta Today and the Indic Collective.

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.