শ্রীঅরবিন্দ তাঁর মা বইটিতে শ্ৰীমায়ের চারটি বিশেষ মাতৃরূপের বর্ণনা করেছেন। এর বাইরে রয়েছে প্রাত্যহিক বা দৈনন্দিনের মায়ের বিশেষ বিশেষ রূপ। যারা মাকে কাছ থেকে দেখেছেন তারা তাঁর সেই দৈনন্দিনের মহিমান্বিত রূপ দর্শন করেছেন। জগৎ আগেও বাস্তবের এমন দেবীরূপ দেখেনি, ভবিষ্যতেও সম্ভবত এ জগৎ আর তা প্রত্যক্ষ করবে না। যে জননীRead More →

ভারতবাসী তর্কশীল, আর বাঙ্গালি স্বভাবতই তর্কপ্রিয়। ভারতের বৈশিষ্ট্যই হলাে কোনও বিতর্কিত বিষয়ে তর্কসভা বসিয়ে আলােচনা আর বিতর্কের মাধ্যমে বিবাদিত বিষয়ের সমাধান করা। এই পরম্পরা ভারতে প্রাচীনকাল থেকে বিদ্যমান। যাজ্ঞবল্ক্য-মৈত্রেয়ী-গার্গী, মণ্ডন মিশ্র এঁদের ঐতিহ্য ভারতীয়দের তর্কশীল করে তুলেছে। সহিষ্ণুতা দান করেছে। তবে সে সহিষ্ণুতা অন্যায়ের প্রতি নয়। সেখানে তাকে ‘বজ্রাদপি কঠোরাণি’Read More →

ভগিনী নিবেদিতা, ‘দ্য মাস্টার অ্যাজ আই স হিম’ গ্রন্থে শ্রীমা সম্পর্কে তাঁর অভিজ্ঞতা তুলে ধরেছেন। তারই কিছু অংশ উদ্ধৃত করা হলাে : “অদ্ভুত এক পরিবারের অন্তর্ভুক্ত হলাম। আমাদের ক্ষুদ্র গােষ্ঠীর যিনি কর্ত্রী—তাঁর বিষয়ে কিছু বলতে যাওয়া ধৃষ্টতা। তাঁর জীবনের ইতিহাস সর্ববিদিত। পাঁচ বছর বয়সে পরিণয়, আঠারাে বছর বয়স পর্যন্ত তাঁকেRead More →

‘এক সদ বিপ্রাঃ বহুধা বদন্তি’। সত্য একটাই কিন্তু জ্ঞানী ব্যক্তিরা তাকে বিভিন্নভাবে প্রকাশ করেন। ভারতীয় জ্ঞান ভাণ্ডার, প্রাচীন সাহিত্য, এই বিষয়টিকেই প্রতিধ্বনিত করে। ঈশ্বর থেকেই এই জগৎ সৃষ্টি হয়েছে, ঈশ্বরের মধ্যেই এই জগৎ রয়েছে, ঈশ্বরের মধ্যেই এই জগৎ বিলীন হয়ে যায়— এটিই চিরন্তন সত্য। এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ড একটি ছন্দ তথা নিয়মেRead More →

স্বামীজী ছিলেন বহু প্রতিভাধর। তিনি ইতিহাস চর্চাও করেছেন, মতামত দিয়েছেন গ্রন্থতত্ত্ব বিষয়েও। তাঁর মতে ইতিহাস যা হয় লিখলেই সেটা সত্য হয় না। এককালে অনেক কথা কল্পনা থেকে লেখা হতো। কারণ পৃথিবী সম্পর্কে তাদের জ্ঞানের দীনতা ছিল। তাই অনেক বিষয়ে সত্যাসত্য নির্ধারণে সন্দেহ জন্মায়। কোনও একটি বিষয়ে স্থির সিদ্ধান্তে পৌঁছাবার উপায়Read More →