স্মৃতি খুবই মধুর হয় যদি তা নিঃস্বার্থ সাধকজনের সান্নিধ্য পাওয়া হয়। সমাজ সংগঠনে নিজেকে রাষ্ট্রায় স্বাহা’করেছেন সেই শ্রীকৃষ্ণ মােতলগজী আজ আমাদের মধ্যে নেই। ইঞ্জিনিয়ারিং পাশ করে প্রচারক রূপে সেই সুদূর নাগপুর থেকে এসেছিলেন অসমে, তারপর ১৯৮১ সালে পশ্চিমবঙ্গে সহ-প্রান্ত প্রচারকের দায়িত্ব নিয়ে । আমি ওই বছর অসুস্থ হয়ে বহরমপুর থেকেRead More →

সঙ্ঘের প্রচারক বিদ্যুৎ দত্তের নির্দেশে সঙ্ঘের শাখা জীবন থেকে ১৯৮০ সালে বিজেপির জন্মলগ্নেই রাজনীতিতে প্রবেশ করি। কিন্তু আজও শাখার মাঠ (সঙ্ঘস্থান) নিত্য প্রতিদিনের কর্মকাণ্ডের একটি প্রধান কর্ম ও প্রেরণা হিসেবে আমার জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে। সেই সঙ্ঘস্থানেই সম্ভবত ১৯৭৮ সালে কেশবরাও দীক্ষিত ও শ্রীকৃষ্ণ মােতলগজী আসেন। তখন আমি শ্যামাপ্রসাদ নগরেরRead More →

যে দুটি সাংগঠনিক ধারাপ্রবাহ বর্তমানে ভারতবর্ষ তথা বিশ্বকে পরিশীলিত ও পরিশুদ্ধ করছে, তার একটি হলাে— শ্রীরামকৃষ্ণ- বিবেকানন্দ প্রবর্তিত ধর্মীয় আধ্যাত্মিক ধারা। যার উৎস ভূমি কলকাতা তথা বঙ্গভূমি। দ্বিতীয়টি হলাে— ডাক্তারজী-গুরুজী প্রবর্তিত সামাজিক-সাংস্কৃতিক ধারা, যার উৎসভূমি নাগপুর তথা মহারাষ্ট্র।স্বাধীনতা আন্দোলনের সময় থেকেই এই দুই প্রদেশের আদান-প্রদান সুবিদিত। সঙ্কার্য বিস্তারের প্রাথমিক ধাপেRead More →

মােতলগজী তখন ক্ষেত্র প্রচারক। তিনি নদীয়া জেলা প্রবাসে আসছেন। আমি কৃষ্ণনগর নগর প্রচারক। মােতলগজী শিয়ালদা থেকে কৃষ্ণনগর লােকাল ট্রেন ধরে কৃষ্ণনগর সিটি জংশনে নামবেন। ট্রেন আসার কিছু আগে আমি স্টেশনে অনুসন্ধান অফিসে অনুরােধ করলাম, আমাদের একজন অধিকারী এই ট্রেনে নামবেন, নামটা ঘােষণা করে দিলে ভালাে হয়। অনুসন্ধান বিভাগের ভদ্রলােক বললেন,Read More →

শ্রীকৃষ্ণের মতাে সমস্ত দৈবীগুণের অধিকারী না হলেও মােতলগজীর মধ্যে দৈবীগুণের প্রভাব লক্ষণীয়। তিনি যেভাবে আমার বা আমাদের সামনে এসেছেন তাতেই তাঁর গুণের বহিঃপ্রকাশ দেখা গেছে। তিনি ছিলেন মিতভাষী, মিষ্টভাষী, বিচক্ষণ, লােককে বুঝানাের ক্ষমতার অধিকারী। দৃষ্টি ছিল মর্মভেদী এবং দৃষ্টিভঙ্গি ছিল সদর্থক। ফলে সাধারণ অনাড়ম্বর জীবন ছিল তাঁর (অবশ্য এটা প্রচারকRead More →

শ্রদ্ধেয় শ্রীকৃষ্ণ ভগবন্ত মােতলগজী নাগপুরে বালুজী নামে সুপরিচিত ছিলেন। তিনি একধারে যেমন আমার আত্মীয়, অন্যদিকে আমার ৫১ বছরের প্রচারক জীবনের প্রেরক, মার্গদর্শক ও অভিভাবক ছিলেন। তাঁর মৃত্যুতে আমি অত্যন্ত শােকাহত।১৯৬৯ সালে বালুজী নাগপুর প্রান্ত প্রচারক ছিলেন। সেই বছর নাগপুর থেকে আমি একমাত্র প্রচারক বেরিয়েছিলাম। বালুজী আমার দাদাকে খুব শ্রদ্ধা করতেন।Read More →

শ্রীকৃষ্ণজীর এভাবে হঠাৎ চলে যাওয়া আমাদের সকলকে এক গভীর আঘাত করে গেছে। সঙ্ঘকার্য করার সময় প্রথমবার শ্রীকৃষ্ণজীর নামের সঙ্গে পরিচয়। সামনাসামনি পরিচয় অনেক পরে। নাগপুরে সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গ চলার সময় প্রথমবার দেখা হয়। সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গের ব্যবস্থার দায়িত্বে নিমগ্ন হয়ে থাকতে দেখা যেত তাকে।।এর পরে কল্যাণীতে সঙ্ঘের মহাশিবিরের কথা মনেRead More →

শ্রীকৃষ্ণদা আমাদের মধ্যে নেই। তিনি চিরশান্তির পথে বিরাজমান হয়েছেন। ব্যক্তি তাে অমর নয়, তাকে এক সময় চলে যেতেই হবে। এটাই স্বাভাবিক। মৃত্যু আছে বলেই জীবনের আনন্দ। তবুও এমন কিছু ব্যক্তি থাকেন যাঁর চলে যাওয়ায় আমাদের মন বিচলিত হয়ে যায়। শ্রীকৃষ্ণ মােতলগজী তেমনই একজন ছিলেন। তিনি এমন একজন প্রচারক ছিলেন যারRead More →

দেশে জরুরি অবস্থা উঠে যাবার পর ১৯৭৮ সালে তৃতীয় বর্ষ সঙ্ঘ শিক্ষা বর্গের জন্য নাগপুর গিয়েছিলাম। বর্গ উদ্বোধন হবার পরের দিন চর্চাগটের কালাংশে শ্রীকৃষ্ণদাকে প্রথম দশর্ন করার সুযােগ পেয়েছিলাম। নাগপুরের প্রান্ত প্রচারক বালুজী চর্চাপ্রবর্তক হিসেবে আমাদের চর্চাগটে চর্চা নিতে এসেছিলেন। প্রচারকদের ওই চর্চাগটে বর্তমান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মােদীও শিক্ষার্থী হিসেবেRead More →

রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সঙ্ঘের ইতিহাসে নাগপুরের নাম স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। রত্নপ্রসবিনী নাগপুর। নাগপুরের অন্যতম একটি রত্ন শ্রীকৃষ্ণ মােতলগ গত ২ আগস্ট রবিবার রাত ৮-৪৫ মিনিটে অমৃতলােকে গমন করেছেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।আমার সঙ্গে মােতলগজীর পরিচয় ১৯৬২ সাল থেকে। ৬২ সালে আমার সঙ্ঘের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষা হয়।। মােতলগজী আমার শিক্ষকRead More →