(ষষ্ঠ অধ্যায়ের পর) সাত আবার গোড়া থেকে আরম্ভ দেখলাম আবার আমায় গোড়া থেকে যাত্রা আরম্ভ করতে হবে। গান্ধীবাদে আমার যে আস্থা ছিল তা শেষমেশ হার মেনেছিল মার্ক্সবাদের কাছে। কিন্তু এখন তো আমি আর মার্ক্সবাদীও রইলাম না। এখন যে প্রশ্নটা বারবার আমার মনের ভেতর ঘুরপাক খেতে লাগল সেটা হচ্ছে : এবারRead More →

(পঞ্চম অধ্যায়ের পর) ছয় রক্ষাকর্তা রাম স্বরূপ ১৯৪৮-এর ফেব্রুয়ারি মাসে কলকাতার ময়দানে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির যে দ্বিতীয় দলীয় সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হয়, আমি তাতে উপস্থিত ছিলাম। এই সমাবেশটি অনুষ্ঠিত হবার সামান্য কিছু দিন আগেই বি.টি. রণদিভে পি.সি. জোশীর হাত থেকে সিপিআই-এর সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বভার গ্রহণ করেছিলেন। ভারতে যা রণদিভে লাইন নামেRead More →

(চতুর্থ অধ্যায়ের পর) পাঁচ কমিউনিস্ট পার্টির সান্নিধ্যে ১৯৪৬-এর ১৬-১৭ অগাস্ট জুড়ে যে ‘দ্য গ্রেট ক্যালকাটা কিলিং’[1] সংঘটিত হয়েছিল, তার অনেকখানিই আমি স্বচক্ষে দেখেছিলাম। রাস্তায় রাস্তায় ছিল মৃতদেহের স্তূপ। আরো বহুসংখ্যক মৃতদেহ হুগলী নদীতে ভাসছিল। অগ্নিসংযোগ এবং উন্মত্ত জনতার আক্রোশের ফলস্বরূপ প্রভূত ব্যক্তিগত এবং সরকারী সম্পত্তি ধ্বংস হতেও চাক্ষুষ দেখেছিলাম। চারিদিকে মৃত্যুRead More →

(তৃতীয় অধ্যায়ের পর) চার কয়েকটি উল্লেখযোগ্য সাক্ষাৎকার কলেজের পাট চুকে যাবার পর আমায় অত্যন্ত কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছিল। আমি ততদিনে বিবাহিত এবং একটি পুত্রসন্তানের পিতা। গ্রামে আমার পিতামাতা সহ একটা গোটা পরিবারের ভার আমার উপর বর্তেছিল। এদিকে আমার পকেটে একটা কানাকড়ি ছিল না। একমাত্র যে চাকরিটি কেন্দ্রীয় সচিবালয়Read More →

(দ্বিতীয় অধ্যায়ের পর) তিন যে বীজগুলি পল্লবিত হয়েছিল কলেজের পড়া শেষ করবার চার বছর বাদে আমি যখন ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে যোগ দিতে প্রস্তুত, সেই সময় পার্টি সদ্যোজাত ভারতীয় গণপ্রজাতন্ত্রী রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে। সালটা ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দ, ফেব্রুয়ারি মাস। আমার সিদ্ধান্তের কথা জানালাম বন্ধু রাম স্বরূপকে, যার সাথে আমার সাক্ষাৎRead More →

(প্রথম অধ্যায়ের পর) দুই গান্ধীবাদ থেকে কমিউনিজম পর্যন্ত ঐ একই সময়ে আমি অল্প কিছুদিনের জন্য জৈনদের স্থাণকবাসী শ্বেতাম্বর সম্প্রদায়ের সংস্পর্শেও এসেছিলাম। আমি যে বিদ্যালয়ের ছাত্র ছিলাম তা ছিল শ্বেতাম্বর জৈনদের দ্বারা পরিচালিত একটি প্রতিষ্ঠান। সে সময় যে আত্মীয়ের বাড়িতে আমি থাকতাম, তিনিও ছিলেন জৈন। ঐ বিদ্যালয়ে জৈন ধর্মের মূলতত্ত্বগুলি শিক্ষাRead More →

অনুবাদকের ভূমিকা সীতারাম গোয়েল এবং রাম স্বরূপ – আধুনিক কালে ভারতীয় চিন্তাজগতের নিজস্ব ঘরানার এই দুই উজ্জ্বল নক্ষত্রের লেখা বাংলা ভাষায় খুব বেশি আলোচিত হয়নি। হিন্দু সভ্যতার উপর লাগাতার ইসলামী মৌলবাদ, ইউরো-আমেরিকান-খ্রিস্টীয় সাম্রাজ্যবাদ এবং বামপন্থার ত্রিমুখী আক্রমণের ফল হিসেবে যেসব ক্ষয়ক্ষতি ঘটেছে, তার খতিয়ান স্বাধীনোত্তর ভারতে এই দুই চিন্তাবিদ যত্নRead More →

লিওনার্দো ফিবোনাচ্চি – মধ্যযুগে ইউরোপের অন্যতম শ্রেষ্ঠ গণিতবিদ হিসেবে তাঁকে আখ্যা দেওয়া হয়। তিনি তাঁর লিবার আবাকি নামক গ্রন্থে ইউরোপে গণিতচর্চার সূচনা করেন। এই গ্রন্থের মাধ্য়মেই ইউরোপ শূন্য় সংখ্য়াটি সম্বন্ধে অবগত হয়। এই গ্রন্থে তিনি রাশিমালার কথা লেখেন যার প্রামানিক তথ্য প্রকৃতিতে প্রচুর পরিমানে পাওয়া যায়। এই রাশিমালায় এমন একRead More →

হালাল ছড়াচ্ছে কারণ আমরা মানসিকভাবে ক্রীতদাস । এটা শীঘ্রই অর্থনীতিক দাসত্বে পরিণত হবে : স্বরাজ্য সাংবাদিককে ঝটকা সার্টিফিকেশন অথোরিটি চিফ “যেদিন ৯৫ শতাংশের মধ্যে মাত্র ১০% অহিন্দু হালাল প্রোডাক্ট বয়কট করবে, সেদিনই ইকোনমিক জিহাদ বন্ধ হয়ে যাবে। আমরা সরকারকে দোষ দিতে পারে, ফ্রি মার্কেট সিস্টেমকে দোষী ঠাওরাতে পারি; কিন্তু আসল সমস্যা আমাদের ক্রীতদাস (ধিম্মি) মানসিকতার মধ্যেই নিহিত আছে।” বলছিলেন রবি রঞ্জন সিংহ। রবিRead More →

[১০’ই অক্টোবর ১৯৪৬-এর কোজাগরী পুর্ণিমার রাতে শুরু হওয়া “নোয়াখালী হিন্দু-গণহত্যা” শুরু হবার মাত্র ৯ দিনের মাথাতেই সংবাদ সংগ্রহের উদ্দেশ্যে নোয়াখালীর সেই মৃত্যুপুরীতে প্রাণ হাতে নিয়ে ছুটে যান তৎকালীন “আনন্দ বাজার পত্রিকা”র মুখ্য সম্পাদক শ্রী চপলাকান্ত ভট্টাচার্য মহাশয়। উপরিউক্ত “নোয়াখালীর ধ্বংসকান্ড” শীর্ষক পুস্তিকায় তাঁর আঁকা সে দিনের সেই অমূল্য এবং ভয়াবহ চিত্রগুলিRead More →