কৃষক বিক্ষোভে উত্তাল রাজধানী। গত কয়েকদিন ধরে সেই ছবি সামনে আসছে। এবার সেই বিক্ষোভ নিয়েই মুখ খুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
সোমবার একগুচ্ছ কর্মসূচী নিয়ে বারাণসীতে পৌঁছেছেন নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানে গিয়েই এই ইস্যুতে মুখ খোলেন প্রধানমন্ত্রী।
বারাণসীতে ৬ লেনের প্রয়াগ-রাজ-বারাণসী জাতীয় সড়কের প্রজেক্ট উদ্বোধন করেন তিনি। আর সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, নতুন কৃষু আইন কৃষকদের সুরক্ষা দেবে ও নতুন পথ খুলে দেবে।
কৃষক বিক্ষোভ প্রসঙ্গে মোদীর বক্তব্য, বিরোধীরা গুজব ছড়াচ্ছে, আর তার জেরেই এই বিক্ষোভ। প্রোপাগান্ডা ছড়ানোর অভিযোগ জানিয়েছেন মোদী।
প্রধানমন্ত্রী এদিন বলেন, আমি এ ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী যে, একবার এই আইন একবার লাগু হলে কৃষকরা অনেক বেশি লাভবান হবেন। মোদী বলেন, ‘আমি মা গঙ্গার পাশে দাঁড়িয়ে বলছি, আমাদের কাউকে ক্ষতিগ্রস্ত করার কোনও উদ্দেশ্য নেই। আমাদের উদ্দেশ্য গঙ্গার মতই স্বচ্ছ।
এদিন কাশী বিশ্বনাথ মন্দির করিডর প্রজেক্টের কাজ পর্যবেক্ষণ করবেন তিনি। এদিন সন্ধেয় দেব দীপাবলিতর অনুষ্ঠানেও অংশ নেবেন মোদী। রাজ ঘাটে আলো জ্বালিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করবেন তিনি। প্রত্যেক বছর কার্তিক পূর্ণিমায় এই উৎসব হয়।
এর আগে মন কি বাতে প্রধানমন্ত্রী বলেন, “নতুন কৃষি আইনে ভারতীয় কৃষকদের জন্য একটি সুযোগের দরজা খুলে দিয়েছে।” মোদী জানান, কয়েক বছর ধরে কৃষকরা যে দাবিগুলি করে আসছিল, তা শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়েছে। এই আইন কৃষকদের ভালোর জন্য।
আর বিক্ষোভরত লক্ষাধিক কৃষকের দাবি,সরকার নতুন কৃষি নীতি বাতিল করুক ও এমএসপি চালু করুক। তাঁরা আরও জানিয়েছেন, কোনও অবস্থায় ঘেরাও আন্দোলন বন্ধ করা হবে না।
এর আগে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ জানিয়েছিলেন, বিক্ষোভকারী কৃষকদের সঙ্গে আলোচনা হবে ৩ ডিসেম্বর। সরকার যে জায়গা বরাদ্দ করছে সেখানে হোক অবস্থান বিক্ষোভ। রবিহার অমিত শাহের আবেদন প্রত্যাখান করলেন আন্দোলনরত কৃষকরা। তাঁরা জানিয়েছেন, সরকার যদি যন্তর মন্তরে বিক্ষোভ প্রদর্শনের অনুমতি না তাহলে দিল্লি সীমান্তেই বিক্ষোভ চলবে।
সরকার কে বাতিল করতেই হবে কৃষি নীতি। এই নীতি কর্পোরেট ব্যবসার সুফল দেবে। কৃষকদের জন্য সর্বনাশ ডেকে এনেছে। মূলত এই দাবিতেই সারা ভারত কৃষক সভা (এআইকেএস) নেতৃত্বে আরও কিছু কৃষক সংগঠনের যে বিক্ষোভ মিছিল চলছে তা আড়ে বহরে এখন জনসমুদ্র।
একের পর এক রাজ্য থেকে রাজধানীর দিকে হাজার হাজার কৃষকের যাত্রা অব্যাহত। উত্তর প্রদেশ, রাজস্থান, পাঞ্জাব এবং হরিয়ানার সীমানা পার করে দিল্লি ঘেরাও করতে মরিয়া কৃষকরা। মোদী সরকারকে টানা অবরোধে বেঁধে রাখতে অন্তত ছয় মাসের খাবার নিয়ে এসেছেন বলেই জানিয়েছেন বিদ্রোহী কৃষকরা।