একদিকে দেশ যখন কৃষক আন্দোলন ঘিরে উত্তাল। সে সময় বুধবার বড় সিদ্ধান্ত নিল মোদীর মন্ত্রিসভা। ৬০ লক্ষ টন চিনি রফতানি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এর থেকে আয় হওয়া টাকা ও ভর্তুকি সরাসরি ৫ কোটি কৃষকের অ্যাকাউন্টে জমা হবে বলে জানানো হয়েছে। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর কেন্দ্রীয় মন্ত্রী প্রকাশ জাভেড়কর, রবি শঙ্কর প্রসাদ সংবাদ সম্মেলন করে সিদ্ধান্তের কথা জানান।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী জানিয়েছেন, এই বছর সরকার ৬০ লক্ষ টন চিনি রফতানিতে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ভর্তুকি সরাসরি কৃষকদের অ্যাকাউন্টে ঢুকবে। এতে খরচ হবে ৩৫০০ কোটি টাকা। এর বাইরে ১৮০০০ কোটি টাকার আয়ও কৃষকদের দেওয়া হবে বলে জানানো হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দাবি করেছেন, এতে ৫০ কোটি কৃষক উপকৃত হবেন, পাঁচ লাখ শ্রমিক উপকৃত হবেন। মন্ত্রীর বক্তব্য অনুযায়ী, এক সপ্তাহের মধ্যে কৃষকরা পাঁচ হাজার কোটি টাকা পর্যন্ত ভর্তুকি পাবেন। ৬০ লক্ষ টন চিনিকে প্রতি টন ৬ হাজার করে রফতানি করা হবে।
কেন্দ্রের তরফে জানানো হয়েছে, চিনির দাম কম থাকায় কৃষক ও চিনি শিল্প সমস্যায় পড়েছে। এর হাত থেকে মুক্তি পেতে ৬০ লক্ষ মিলিয়ন টন চিনি রফতানি ও রফতানিতে ভর্তুকি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
কৃষকদের আন্দোলনের মাঝেই মোদী সরকার বিপুল সংখ্যক কৃষকের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সরকার এই আইনের বিষয়ে কৃষকদের বোঝানোর চেষ্টা করে চলেছে।
নয়া কৃষি আইন নিয়ে ঘরে-বাইরে প্রবল চাপে কেন্দ্রীয় সরকার। একদিকে, কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় কৃষকরা। আইন বাতিল না হলে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার হুঁশিয়ারি কৃষক সংগঠনের। ইতিমধ্যেই কৃষকদের সমর্থনে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আওয়াজ তুলেছে রাজনৈতিক দল, সংগঠন থেকে শুরু করে খ্যাতনামা ব্যক্তিরা। নয়া আইন বাতিলের দাবিতে একটানা প্রায় তিন সপ্তাহ ধরে দিল্লিতে অবস্থান বিক্ষোভ করছেন লক্ষ-লক্ষ কৃষক।