কয়েকদিন ধরে লাগাতার কুয়াশার জেরে সিঁদুরে মেঘ দেখছেন বাঁকুড়ার আলু চাষীরা। প্রায় শিল্প বিহীন কৃষি প্রধান এই জেলার অন্যতম অর্থকরী ফসল আলু। চলতি বছরে বীজের দাম আকাশ ছোঁয়া। তার মধ্যেও ঋণ-ধার করে কাজ করেছিলেন চাষীরা। কিন্তু প্রতিদিন যেভাবে কুয়াশার দাপট বাড়ছে, তাতে চরম ক্ষতির সম্ভাবনা দেখছেন বাঁকুড়ার আলু চাষীরা।
জেলা কৃষি দফতর সূত্রে খবর, এই মুহূর্তে বাঁকুড়া জেলায় ৪৫ হাজার হেক্টর জমিতে আলু চাষ হয়েছে। চলতি মরশুমে আরও ১৫ হাজার হেক্টর জমিতে এই চাস হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তবে যেভাবে কুয়াশার দাপট বাড়ছে তাতে ক্ষতির সম্ভাবনা দেখে প্রাথমিক ভাবে মনে হচ্ছে যে সেই লক্ষ্য হয়ত পূরণ নাও হতে পারে।
আলু চাষী কৃষ্ণ কোনার, তাপস সেবাইত, স্বপন সেবাইতরা বলেন, গত কয়েক দিন ধরে যেভাবে কুয়াশার দাপট দেখা যাচ্ছে তাতে আলুর পাশাপাশি অন্যান্য সব্জী চাষেও ব্যাপক ক্ষতির সম্ভাবনা তৈরী হয়েছে।
শুধুমাত্র অত্যধিক কুয়াশার কারণে আলু গাছে ধ্বসা রোগের প্রকোপ বাড়তে শুরু করেছে। ১০০ টাকা কেজি দরে আলু বীজ তার সঙ্গে চাষের অন্যান্য খরচ যোগ করে যে পরিমান খরচ হয়েছে সেই টাকাও উঠবেনা। ফলে চরম আর্থিক সংকটের মধ্যে তাঁদের পড়তে হবে বলে তাঁরা জানান।
কুয়াশার কারণে আলু চাষে ধ্বসা রোগের প্রকোপ বাড়ার কথা স্বীকার করে নিয়েছেন জেলা কৃষি আধিকারিক সুশান্ত মহাপাত্রও।
তিনি বলেন, এই অবস্থায় ধ্বসা রোগের হাত থেকে আলু গাছ বাঁচাতে ডাইথেনএম-৪৫ ব্যবহারের পরামর্শ দিচ্ছি।এভাবে টানা আট-দশ দিন কুয়াশার দাপট চলতে থাকলে আলুর ফলন ব্যাপকভাবে কমে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে তিনি জানান।