সামুদ্রিক ও উদ্যানজাত সামগ্রী সহ কৃষিজ পণ্যের রপ্তানি ২০২১-২২-এ ৫০ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে, যা সর্বকালীন রেকর্ড। ডিজিসিআই অ্যান্ড এস- এর পক্ষ থেকে প্রকাশিত প্রাথমিক পরিসংখ্যান অনুযায়ী ২০২১-২২ –এ কৃষিজ পণ্যের রপ্তানি ১৯.৯২ শতাংশ বেড়ে ৫০.২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। অন্যদিকে, ২০২০-২১ –এ ভারত থেকে কৃষি পণ্যের রপ্তানির পরিমাণ ছিল ৪১.৭৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। কৃষি পণ্যের রপ্তানিতে গত ২ বছরে এই সাফল্য কৃষকদের আয় বাড়াতে প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্ন পূরণে সুদূর প্রসারী ভূমিকা নেবে।
২০২১-২২-এ সর্বাধিক পরিমাণে কৃষি পণ্য রপ্তানির মধ্যে রয়েছে চাল, (৯.৬৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), গম (২.১৯ বিলিয়ন মার্কিন ডলার), চিনি (৪.৬ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) ও অন্যান্য মোটা জাতীয় দানা শস্য (১.০৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার)। গম রপ্তানিতে ২০২০-২১ –এর তুলনায় এবার অভাবনীয় ২৭৩ শতাংশের বেশি অগ্রগতি হয়ে ২ হাজার ১১৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। এর ফলে পশ্চিমবঙ্গ সহ পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ, বিহার, মহারাষ্ট্রের প্রভৃতি রাজ্যের কৃষকরা উপকৃত হয়েছেন। উল্লেখ করা যেতে পারে ভারত চালের রপ্তানি ক্ষেত্রে বিশ্ব বাজেরের প্রায় ৫০ শতাংশ দখল করেছে।
সামুদ্রিক পণ্য সামগ্রীর রপ্তানির পরিমাণ ৭.৭১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে। দেশের উপকূলীয় রাজ্যগুলির মধ্যে পশ্চিমবঙ্গ, অন্ধ্রপ্রদেশ, ওড়িশা, তামিলনাড়ু, গুজরাট ও কেরালা থেকে লক্ষণীয় হারে সামুদ্রিক পণ্যের রপ্তানি বেড়েছে। একইভাবে, পর পর দুই বছর মশলাপাতির রপ্তানি চার বিলিয়ন মার্কিন ডলার হয়েছে। ভারত থেকে কফি রপ্তানির পরিমাণ প্রথমবার ১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ছাড়িয়েছে।
কেন্দ্রীয় বাণিজ্য দপ্তর এবং একাধিক রপ্তানি প্রসার পর্ষদের ধারাবাহিক প্রয়াসের ফলে এই সাফল্য অর্জিত হয়েছে। দপ্তর কৃষিজ পণ্য সামগ্রীর রপ্তানি বাড়াতে রাজ্য সরকার ও জেলা প্রশাসনগুলিকেও উদ্যোগী হতে পরামর্শ দিয়েছে।
কোভিড-১৯ মহামারীর সময় ২০২০-র প্রথম ত্রৈমাসিকে চাহিদা বৃদ্ধি পায়। এর ফলে কৃষিজ সামগ্রীর রপ্তানির পরিমাণ বাড়ে। এমনকি রাশিয়া ও ইউক্রেনের মধ্যে চলতি সঙ্কটের সময় গম ও অন্যান্য খাদ্য শস্য সরবরাহের জন্য সারা বিশ্ব ভারতের দিকে তাকিয়ে রয়েছে। কেন্দ্রীয় বাণিজ্য দপ্তর কৃষিজ পণ্য সামগ্রীর রপ্তানিতে গত দু বছরে যে অগ্রগতি অর্জিত হয়েছে তা ধরে রাখতে তৎপর।