দেখতে দেখতে ১৩-দিন হয়ে গেল, ‘বিতর্কিত’ কৃষি আইনের প্রতিবাদে এখনও আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন কৃষকরা। প্রবল ঠাণ্ডার মধ্যে, খোলা আকাশের নীচে অন্নদাতাদের আন্দোলন দেশবাসীকে কাঁদিয়ে তুলছে। কৃষি আইনের বিরোধিতায় কৃষক সংগঠনের ডাকা ‘ভারত বনধ’-এর সমর্থনে দেশজুড়ে শুরু হয়েছে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ। কোথাও রেল অবরোধ করা হয়েছে, কোথাও আবার সড়ক আটকে বিক্ষোভ দেখানো হয়েছে। যদিও, ভারতীয় কিশান ইউনিয়নের মুখপাত্র রাকেশ তিকাইত জানিয়েছেন, ‘আমাদের প্রতিবাদ শান্তিপূর্ণ থাকবে। আমাদের ডাকা ভারত বনধের জন্য যদি কেউ আটকে পড়েন তাহলে তাঁদের জল ও ফল আমরাই দেবো।’
সকাল ৯.৩০ মিনিট পর্যন্ত দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ‘ভারত বনধ’ :
পশ্চিমবঙ্গ : পশ্চিমবঙ্গের ভারত বনধের মিশ্র প্রভার লক্ষ্য করা যাচ্ছে। কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষক সংগঠনের ডাকা ভারত বনধের সমর্থনে যাদবপুর স্টেশনে লোকাল ট্রেন আটকে রেল অবরোধ কর্মসূচি পালন করেন বামেরা। শিয়ালদহ শাখার ডায়মন্ড হারবারে রেল অবরোধ। হোটর এবং বারুইপুরের মধ্যে রেললাইনে কলাপাতা বিছিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ডোমজুর স্টেশনের কাছে রেল অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। কাঁধে লাঙল নিয়ে অবরোধ করা হয়। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আমত-হাওড়া শাখাতেও ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। আটকে থাকে ডাউন আমতা-হাওড়া লোকাল।
ওডিশা : ভারত বনধের সমর্থনে মঙ্গলবার সকালে ওডিশার রাজধানী ভুবনেশ্বরে, ভুবনেশ্বর রেল স্টেশনে রেল অবরোধ করেন কৃষক সংগঠনের কর্মীরা। তাঁদের সঙ্গেই ছিলেন বাম রাজনৈতিক দল এবং ট্রেড ইউনিয়নের কর্মী-সদস্যরা।
অন্ধ্রপ্রদেশ : দক্ষিণ ভারতের রাজ্যে অন্ধ্রপ্রদেশের বিজওয়াড়ায় ভারত বনধের সমর্থনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন বাম রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীরা। বিজওয়াড়ার রাস্তায় হাজার হাজার বনধ সমর্থকদের প্রতিবাদের জেরে অবরুদ্ধ হয়ে পরে রাস্তাঘাট। বিপর্যস্ত হয় যানবাহন চলাচল। বিজওয়াড়া ছাড়াও ভিজিয়ানাগারাম জেলার পার্বতীপুরমে রাস্তার উপর বসে প্রতিবাদ দেখান বামেরা।
মহারাষ্ট্র : ভারত বনধের কোনও প্রভাব পড়েনি মহারাষ্ট্রের পুণের এপিএমসি মার্কেটে। অন্যান্য দিনের মতোই মঙ্গলবার সকালেও বাজার ছিল খোলা। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন, ‘কৃষকদের আন্দোলনকে আমরা সমর্থন করছি। কিন্তু, বাজার খোলার রাখার নেপথ্যে কারণ হল ভিন রাজ্য থেকে আসা কৃষিপণ্য যাতে মজুত করা যায়, নাহলে সমস্ত কিছু নষ্ট হয়ে যাবে। আগামীকাল সমস্ত কিছু বিক্রি করা হবে।’
বিহার : বিহারের রাজধানী পাটনায় সকাল থেকেই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। এদিন সকালে পাটনার রাজপথে গাড়ির সংখ্যা কম ছিল।
2020-12-08