ভারতীয় কিষান সঙ্ঘের পক্ষ থেকে জেলায় জেলায় দাবি-সনদ প্রদান করা হয় জেলা দপ্তরে। এ রাজ্যের কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষরা বিভিন্ন সরকারি সুযোগ সুবিধা থেকে প্রতিনিয়তই বঞ্চিত হন। সরকার যে সমস্ত ফসল নূন্যতম সহায়ক মূল্যে কিনে নেন সেখানেও দালালরাজ চোখে পড়ে। কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষের আর্থিক উন্নতি হবার অন্তরায় হয়ে আছে এই ফড়েরা। অথচ ভারত সরকার চাইছে যে, ২০২২ সালের মধ্যে কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষের আয় দ্বিগুণ করতে।আর তা করতে গেলে কৃষকরা ফসলের ন্যায্য দাম যাতে পান সেই দিকে নজর দিতে হবে।এই কথা চিন্তা করেই করোনা ভয়াবহতার কথা মাথায় রেখে ‘ভারতীয় কিষাণ সঙ্ঘ’-এর নদিয়া জেলা কমিটির কার্যকর্তাবৃন্দ ইমেইল মারফত একটি ‘দাবি-সনদ’ প্রদান করেছে নদিয়ার মাননীয় জেলাশাসক ও মাননীয়া সভাধিপতি মহাশয়/মহাশয়াকে গত ৩০/০৯/২০২০ তারিখে।সেই দাবি-সনদে যে চারটি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে সেগুলি হল-
- ধান ওঠার সময় থেকেই সমস্ত কৃষক, সরকার ঘোষিত মূল্যে ( ১৮৬৮/ কুইন্টাল ), তার প্রয়োজনমত সমস্ত ধান যাতে নিজ গ্রামের ১ কিঃমিঃ দূরত্বের মধ্যে কোনো ধান বিক্রয় কেন্দ্রে বিক্রি করতে পারেন তার ব্যবস্থা করতে হবে।
- ধান ক্রয় বিক্রয়ের সময় যদি কোনো রাজনৈতিক দলের সদস্যরা কোনো রকম বাধার সৃষ্টি করে, তবে প্রশাসন যাতে দ্রুত ও কঠোর ব্যবস্থা নিতে পারে, সেই ব্যাপারে অগ্রিম পুলিশকে সতর্ক থাকার নির্দেশ দিতে হবে।
- আলু ওঠার পর পরই যাতে আলুচাষী ১২০০ টাকা প্রতি কুইন্টাল দরে আলু বিক্রি করতে পারে তার ব্যবস্থা করতে হবে।
- সমষ্টি উন্নয়ন আধিকারিকের কার্যালয়ের ১ কিঃমিঃ এর মধ্যে ‘কিষান মান্ডি’ স্হাপন করতে হবে।
এই দাবি গুলো না মানা হলে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপ কী হবে তা জানতে চাওয়া হলে জেলা সম্পাদক মিলন খামারিয়া জানান যে,”ভারতবর্ষের মধ্যে সবচেয়ে উন্নতমানের কৃষি জমি রয়েছে পশ্চিমবঙ্গে।অথচ এখানকার কৃষক সম্প্রদায়ের মানুষের আর্থিক উন্নতি তেমন ভাবে চোখে পড়ে না কারণ তারা ফসলের ন্যায্য দাম পান না।কৃষকদের লাভের গুড় পিঁপড়ে নামক ফড়েরাই খেয়ে নিচ্ছে।সরকারকেই এই ফড়েরাজ শেষ করতেই হবে”এবং জেলা সভাপতি ডাঃ সন্দীপ কীর্তনিয়া জানান যে-“তাদের দাবি না মানা হলে তারা আরও বৃহত্তর আন্দোলনের পথে এগিয়ে যাবেন।”
পুরুলিয়া জেলা, বীরভূম জেলা সহ নানান জেলা থেকে সরাসরি সংশ্লিষ্ট আধিকারিকদের কাছে ভারতীয় কিষান সঙ্ঘের পক্ষ থেকে দাবী-সনদ প্রদান করার খবর রাজ্য দপ্তরে এসে পৌঁছেছে।