ইয়াস যে মেঘটা জড়ো করেছে সেটার পুরোটার সাইজ হলো সমগ্র দক্ষিণ ভারতের সমান।ইয়াস এখনো অব্দি অস্থির হয়েই আছে, ভীষণই অস্থির। ঘুরেই চলেছে বেশ। আমফান হোক বা কদিন আগের টুকতায়ে, এগুলোর থেকে আলাদা হয়ে যেটা অদ্ভুত লাগছে ইয়াসের এবার, এ নিজেই নিজের পথকে সার্কেল আকারে ক্রস করছে বারবার। কেন্দ্র বা Eye এখনো তৈরি হয়নি বলে মেঘ ঘুরেই চলছে একই রাস্তা দিয়ে আর তার প্রভাবে এখনো লাট্টুর মত দেখতে সাইক্লোনটা ফর্ম হতে অনেক সময় নিচ্ছে। এটাই সবথেকে বেশি ভয়ের। অলরেডি এখনই স্পিড প্রায় 60 ছুঁয়ে গেছে পুরোটা কেন্দ্রীভূত হওয়ার আগেই।যদিও পরিস্থিতি পুরো স্টেবল হয়নি তবু এখনো অব্দি এর মডেল প্রেডিকশন যা বোঝা গেছে তাতে, মোটামুটি তিনটি পথ পাওয়া যাচ্ছে যেগুলো গতকালের থেকে অবশ্যই আলাদা।বামদিকে,উড়িষ্যার কোনারক – ডাল্টনগঞ্জ – উত্তরপ্রদেশের দীন দয়াল উপাধ্যায়ডানদিকে,কলকাতা – রানাঘাট – কাটোয়া – বাংলাদেশের রাজশাহীমধ্যভাগে,উড়িষ্যার জলেশ্বর ও কাঁথির মধ্যবর্তী এলাকা – ঝাড়গ্রাম – ঝাড়খন্ডের ঝরিয়ার দিকপ্রতিটা পথের কোন জায়গায় আনুমানিক কত স্পিড ও স্পিড এবং সাইক্লোন ক্যাটাগরি কততে নেমে এসে ইয়াস কতটা শক্তি হারাবে, সেটার ডিটেল এখনো হাতে নেই, পেলে সেটাও জানিয়ে দেব, খোঁজ চলছে।তবে আমফান গেছিল মধ্যভাগের রাস্তার ডানদিক ধরে কলকাতা ছুঁয়ে নদীয়া হয়ে বাংলাদেশ, আশা করব এই সময়ে এই রাজ্যের উপরে আর এত বড় বাধা হয়ে না এসে ইয়াসকে প্রভু জগন্নাথ বুকে টেনে আমাদের রক্ষা করবেন।কিন্তু একটি কথা আবার ভীষণ পরিষ্কার ভাবে বুঝে নিন, কালকে সারাদিনের পরে যদি ইয়াস নেমে আসে, এবং এটাই হতে চলেছে, সেক্ষেত্রে বিশুদ্ধ ভাবে বিপদ অপেক্ষা করছে আমাদের কপালে। আর যদি 26 তারিখ বা তার পরে নামে, আমি নইজে একটু বাড়িয়েই স্পিড ধরছি প্রায় 240+ মতো। আজকে কেন্দ্রীয় সরকারের বুলেটিনে স্পিড দিয়েছে 175 থেকে 185 কিন্তু এই ঝড়ের গতিপথ যা এ আরো কদিনে সমুদ্রে থেকে শক্তি বাড়াবে সেটা একদমই ভরসা করতে পারছি না আমি। (আমফান ছিল ওই 185 এর এদিক ওদিক মতো)বুঝে নিন কী হতে চলেছেএসব ঝড়ের একটা জিনিসই ভালো, বেশিক্ষণ স্থায়ী হয় না এক জায়গায় এবং যত সময় যায় তত শক্তি কমে।তাই আবার বলছি,যাদের টালির বা টিনের চাল, তাদের বলুন ঝড় আসার দিনে টালি মাটিতে গভীরে পুঁতে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে, টিনের চালের তিন খুলে বেঁধে রাখতে কোথায়।হয়তো ঝড়ের সময়ে বাড়িতে জল ও আবর্জনা ঢুকবে, কিন্তু এর ফলে অন্তত বাড়ির জিনিসপত্র গুলো বেঁচে যাবে।আর একান্তই যদি টিনের চাল সরানো না যায়, তাহলে যেন চালে মালিকের নাম আর এড্রেস লিখে দেয়, নাহলে দুটো গ্রাম পেরিয়ে চাল খুঁজতে গেলে মুশকিল হবে, টালির ব্যাপারে আমি কিছু সাজেস্ট করতে পারব না, টালির বাড়ির পাশের বাড়িগুলো নিজেরা জানালা দরজা সামলে রাখবেন, ফুল স্পিডে উড়ন্ত টালি ভয়ানক জিনিস।কালকে আবার আপডেট আসছে
https://www.facebook.com/100002979596573/posts/3800692206706728/