শীতলকুচিতে গুলি চলার ঘটনায় তোলপাড় বাংলার রাজনীতি। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির ইশারাতেই কাজ করছে কেন্দ্রীয় বাহিনী। বিজেপির পালটা দাবি, তৃণমূলনেত্রীর উসকানির জেরেই এমন ঘটনা ঘটেছে।এবার সেই ঘটনা নিয়ে বিবৃতি দিলেন কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর। গোটা ঘটনার ব্যাখ্যা দিল সিআইএসএফও। তাদের দাবি, দুষ্কৃতীরা কেন্দ্রীয় বাহিনীর উপর হামলা চালায়। আত্মরক্ষার স্বার্থেই গুলি চালিয়েছিল বাহিনী।
সাংবাদিক বৈঠক করে কোচবিহারের পুলিশ সুপার দেবাশিস ধর বললেন, “এক যুবক অসুস্থ হয়ে পড়ছিল।তার চিকিৎসা করছিল স্থানীয় কয়েকজন। সেই সময় তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করছিল বাহিনীর কয়েক জন জওয়ান। ঠিক তখন গুজব ছড়ায়, সিআইএসএফের মারে ওই যুবক অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তার পরই প্রায় তিনশো-সাড়ে তিনশো গ্রামবাসী, যাঁদের মধ্যে অধিকাংশই মহিলা, জওয়ানদের ঘিরে ধরে। উত্তেজনা ছড়ায়। অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলে। এমনকী, ব্যালট ছিনতাইয়ের অবস্থা তৈরি হয়। তখন নিয়ম মেনেই গুলি চালায় বাহিনী। ১৫ রাউন্ড গুলি চলে। ৪ জনের মৃত্যু হয়।” তিনি আরও জানিয়েছেন, কয়েকজন সিআইএসএফ জওয়ানও জখম হয়েছেন। জখম হয়েছেন হোমগার্ডও।
বিবৃতি দিয়ে সিআইএসএফ দাবি করেছে, “সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথের কাছে ১০-১৫ জন দুষ্কৃতী ঘুরে বেড়াচ্ছিল। ভোটারদেরও বাধা দিচ্ছিল তারা। কেন্দ্রীয় বাহিনী স্থানীয় পুলিশকে নিয়ে তাদের সরানোর চেষ্টা করে। সেই ধ্বস্তাধ্বস্তিতে একটি বাচ্চা পড়ে যায়। তার পরই সিআইএসএফের গাড়ি ভাঙে তারা। শূন্যে গুলি চালিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।” তাঁরা আরও জানায়, “এর প্রায় ১ ঘণ্টা পর আরও ১৫০ জন জনতা ফের ঘিরে ধরে জওয়ানদের। ওদের সরাতে হাওয়ায় দু-রাউন্ড গুলি চালায় বাহিনী। তাতেও দমেনি দুষ্কৃতীরা। এগিয়ে আসতে থাকে বাহিনীর দিকে। তখন আত্মরক্ষার স্বার্থে উন্মত্ত জনতার দিকে গুলি চালায় বাহিনী।” তবে পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর বিবৃতিতে পার্থক্য রয়েছে বলে দাবি করছেন কেউ কেউ।