উদ্ধার হচ্ছে একের পর এক দেহ। আহত বহু। উত্তরাখন্ডের (Chamoli) বিধ্বংসী বানে ভেসেছে জীবন। তবু ধ্বংসস্তুপের মধ্যে থেকে প্রাণের আশা খুঁজে বেড়াচ্ছেন উদ্ধারকারীরা। সেই উদ্ধারকাজেই নিজেদের প্রাণের মায়া ত্যাগ করে হাত লাগিয়েছেন চার মহিলা অফিসার (women officers)।
এই টিমে রয়েছেন চামোলির জেলাশাসক স্বাতী ভাগোরিয়া, আইটিবিপির ডিআইজি অপর্ণা কুমার, গাড়োয়াল রেঞ্জের ডিআইজি নীরু গর্গ, এসডিআরএফ ডিআইজি রিধিম আগরওয়াল। ধ্বংসস্তুপ এলাকায় ক্যাম্প করে দিনের পর দিন থাকা থেকে গোটা অপারেশন প্রক্রিয়ায় (rescue operation) নজরদারি চালানো, ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারগুলিকে সান্ত্বনা দেওয়া থেকে ত্রাণ কাজে হাত লাগানো সব কাজেই সমান দক্ষতার সঙ্গে কাজ করে চলেছেন তাঁরা।
চামোলির জেলাশাসক স্বাতী বাদোরিয়া ২০১১ ব্যাচের আইএএস অফিসার। ২০০৫ ব্যাচের আইপিএস অফিসার নীরু গর্গ। ২০০২ ব্যাচের আইপিএস অফিসার অপর্ণা কুমার, ২০০৫ ব্যাচের রিধিম আগরওয়ালের হাত ধরেই চলছে উদ্ধার কাজ। এছাড়াও রয়েছেন আরও একজন। তিনি এসডিএম কুমকুম যোশী। চামোলির জেলাশাসকের ডানহাত প্রমাণিত হয়েছেন এই উদ্ধারকাজে।
এদিকে, ক্রমশই বাড়ছে উত্তরাখণ্ডে(Uttarakhand) মৃতের সংখ্যা। গত ৭ ফেব্রুয়ারি তুষারধসের ফলে হড়পা বান হয়। অলকানন্দা ও ধৌলিগঙ্গা নদীর জলস্তর প্রবলভাবে বেড়ে যায়। পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। বহু গ্রামের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ক্রমশই বেড়ে চলেছে মৃতের সংখ্যা। এখনও পর্যন্ত এই বিপর্যয়ের পর উত্তরখণ্ডের ওই এলাকা থেকে ৫০টি দেহ উদ্ধার করল বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর ও ভারতীয় সেনা।
রবিবার সকালে তপোবন টানেল থেকে একাধিক দেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শনিবার উদ্ধারকারীরা টানেলের মধ্যে বোরিং মেশিন দিয়ে খননকার্য চালাতে শুরু করে। বন্যার ফলে তপোবন বিষ্ণুগড়ের জলবিদ্যুৎ প্রজেক্ট ধ্বংস হয়ে গিয়েছে। দুর্ঘটনার এক সপ্তাহ পরও ৩০ জন সেখানে আটকে ছিলেন।
NTPC প্রজেক্টের জেনারেল ম্যানেজার আর পি আহিরওয়াল বলেছেন, টানেলে যারা আটকে রয়েছে তাদের উদ্ধার করার জন্য তিনটি কৌশল অবলম্বন করছেন তাঁরা। শুক্রবার একটি ড্রিল করে ক্যামেরা ও পাইপ ভিতরে ঢোকানো হয়। পাইপটির ব্যাস প্রায় একফুট। ভিতরে জমে থাকা জল বের করতে ওই পাইপটি কাজে লাগানো হচ্ছে। তপোবন টানেলে চলছে ম্যারাথন রেসকিউ অপারেশন। কিছু জনকে বের করে আনা সম্ভব হয়েছে। এখনও ভিতরে ২০ জনের মতো আটকে রয়েছেন।