বালিয়ার পর এবার ফিরোজাবাদ। যোগীর (Yogi Adityanath) রাজ্যে ফের দুষ্কৃতীদের দৌরাত্ম্য। এবার জনসমক্ষে গুলি করে মারা হল এক বিজেপি নেতাকে। ঘটনায় বিজেপিরই তিন নেতাকে আটক করেছে পুলিশ। দলের গোষ্ঠীকোন্দলের কারণেই এই খুন বলে মনে করা হচ্ছে। ঘটনার ভয়াবহতায় আতঙ্কিত গোটা এলাকা।
মৃত দয়াশঙ্কর গুপ্তা ছিলেন বিজেপির (BJP) মণ্ডল সভ-সভাপতি। শুক্রবার রাতে নিজের দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফেরার পথে তাঁর পিছু ধাওয়া করে জনা তিনেক দুষ্কৃতী। বাইক আরোহী দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে পালায়। দয়াশঙ্করকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে গেলেও কাজের কাজ হয়নি।মৃতের পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে ওই এলাকারই আরেক বিজেপি নেতা বীরেশ তোমর এবং তাঁর দুই আত্মীয়কে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মৃতের পরিবারের দাবি রাজনৈতিক বিরোধিতার জন্যই খুন করা হয়েছে বিজেপির মণ্ডল সহ-সভাপতিকে।
আসলে এই বীরেশ তোমর আগে বিজেপিতে ছিলেন না। তিনি এলাকার পঞ্চায়েত নির্বাচনে অন্য দলের টিকিটে দয়াশঙ্করকে হারিয়ে দেন। সদ্যই নিজের পুরনো দল ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন তিনি। এবং গেরুয়া শিবিরে এসেই ক্ষমতা দখলের লড়াইয়ে মেতেছেন। নিজের পথের প্রধান অন্তরায় দয়াশঙ্করকে রাস্তা থেকে সরানোর জন্য তিনিই খুন করতে পারেন বলে ধারণা পুলিশের। এই ঘটনা আরও একবার উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছে। প্রশ্ন উঠছে যেখানে শাসকদলের নেতারাই সুরক্ষিত নন, সেখানে বিরোধীদের কী অবস্থা হবে?