কমানো হতে পারে মেট্রোর দুই ট্রেনের ব্যবধান। ব্যস্ত সময়ে ১০ মিনিটের বদলে ৮ মিনিট অন্তর চলতে পারে ট্রেন। আর সাধারণ সময়ে ১৫ মিনিটের বদলে ১২ মিনিট অন্তর চালানো হতে পারে। আগামী সপ্তাহে এই বিষয়ে বৈঠকে বসার কথা মেট্রো কর্তৃপক্ষের (Kolkata Metro Railway)। প্রথম দু’দিন সেভাবে যাত্রী না হলেও দিন দিন তা বাড়ছে। শুক্রবার যাত্রী সংখ্যা ৪৬ হাজার ছাড়িয়েছে। তাই কর্তৃপক্ষ এবার মেট্রোর সংখ্যা বাড়ানোর চিন্তাভাবনা করছে।
প্রথমে ভাবা হয়েছিল, সামাজিক দূরত্ব মেনে সর্বোচ্চ হাজার পঞ্চাশেক যাত্রী দিনে যাতায়াত করতে পারবেন। কিন্তু এক সপ্তাহ পরিষেবার পর কর্তৃপক্ষের ধারণা, বর্তমানে যেভাবে মেট্রো চলছে অর্থাৎ দিনে ১১০টা করে, তাতে এক লাখ থেকে এক লাখ দশ হাজার যাত্রী এরপর রোজ উঠতে পারবেন। কারণ, অধিকাংশ যাত্রীই গড়ে সাত থেকে দশটি স্টেশনের মধ্যে যাতায়াত করছেন। সবাই যে একসঙ্গে ট্রেনে উঠছেন তেমনটা নয়। ফলে দিনে এক লক্ষের বেশি যাত্রী যাতায়াত করতে পারবেন। ট্রেনের সংখ্যা বাড়লে তা আরও বাড়বে। তবে সকাল ৮টা থেকেই মেট্রো চলাচল শুরু হবে। শেষ মেট্রো অন্তিম স্টেশন থেকে ছাড়বে সন্ধে সাতটায়।
তাছাড়া ই—পাসের বিষয়ে বিকল্প কিছু ভাবার চিন্তাভাবনা করছে কর্তৃপক্ষ। সেক্ষেত্রে যাঁদের স্মার্ট ফোন নেই তাঁদের স্টেশনে ঢোকার সময় কিছু বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া যায় কি না দেখা হচ্ছে। মেট্রো কর্তৃপক্ষের দাবি, প্রথম দু’-তিন দিন কিছুটা সমস্যা হলেও যাত্রীরা তারপর ই-পাসের বিষয়ে সড়গড় হয়ে গিয়েছেন। রোজই ৬৫ হাজারের কাছাকাছি যাত্রী সিট বুক করছেন। ফলে ই-পাসের গেরো কেটেছে। ক্রমশ বিষয়টি জনপ্রিয় হচ্ছে।
মেট্রোর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, যত দিন যাচ্ছে তত মানুষ নিউ নরম্যালে অভ্যস্ত হচ্ছেন। বর্তমানে প্রতি মেট্রোয় ৪০০ জন যাত্রী যাতায়াত করেন। নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রেখে তাঁদের বসতে হয়। তবে অনেকেই ওঠেন কয়েক স্টেশন পর নেমে যান। তাঁদের বদলে আবার অন্য যাত্রী ওঠেন। এভাবে যাত্রী ওঠানামা করলেই কিছুদিনের মধ্যেই দিন-প্রতি যাত্রীসংখ্যা লাখখানেক হয়ে যাবে। মেট্রোর আধিকারিকরা জানাচ্ছেন, সংখ্যা বাড়লে মেট্রোর যাত্রী সংখ্যা লাখ দেড়েক হয়ে যেতে পারে।
মেট্রোর অ্যাপস প্রস্তুতকারক সংস্থার আধিকারিক সঞ্জয় চট্টোপাধ্যায় বলেন, “মানুষ এখন ই-পাস বা সিট বুক করতে যথেষ্ট সড়গড় হয়েছেন। তাই দিন দিন যাত্রীসংখ্যা বাড়ছে। ভবিষ্যতে তা আরও বাড়বে। লাখের বেশি যাত্রী এখনই যেতে পারবেন।” ই-পাসের বিষয়ে যাত্রীরা সড়গড় হওয়ার ফলেই যাত্রী সংখ্যা বেড়েছে বলে এখন ট্রেন বাড়ানো দরকার।