গত রবিবার নিয়ে পাঁচবার কোর কম্যান্ডার লেভেল বৈঠক হয়েছে। কিন্তু লাদাখে প্যাংগং লেকে নিজেদের অবস্থানে অনড় লালফৌজ (PLA)। চিনা সেনা ফিঙ্গার ফোর থেকে সরলেও ফিঙ্গার ফাইভে ঘাঁটি গেড়েছে। আগের চার বারের মতোই পূর্ব লাদাখের চুসুল সীমান্ত লাগোয়া মলডোতে বৈঠক হয়। লেহ-তে মোতায়েন ভারতীয় সেনার ১৪ নম্বর কোরের কম্যান্ডার লেফটেন্যান্ট জেনারেল হরেন্দ্র সিংহ এবং চিনের দক্ষিণ শিনজিয়াং মিলিটারি ডিস্ট্রিক্ট কম্যান্ডার মেজর জেনারেল লিউ লিন মধ্যে বৈঠকের পরেও নিজেদের অবস্থান পালটায়নি চিনা সেনা।
প্রসঙ্গত, ভারতীয় ভূখণ্ড দেপস্যাং ও গোগরাতেও বসে রয়েছে ঘাঁটি গেড়েছে লালফৌজ। তবে সেখান থেকে তারা সরে যাবে বলে সমঝোতা করেছে। একইসঙ্গে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা (LAC) বরাবর ২৫,০০০ সেনা মোতায়েন করে রেখেছে চিন। তাদের সঙ্গে রয়েছে ট্যাঙ্ক ও অন্যান্য অত্যাধুনিক সমরাস্ত্র। রণবহর কমানোর কোনও লক্ষণ দেখায়নি লালফৌজ। এর আগে ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের (Ajit Doval) সঙ্গে চিনের বিদেশমন্ত্রীর দু’ঘণ্টার বৈঠকের পর সীমান্তে উত্তেজনা কিছুটা কমে। গালওয়ান থেকে সরে যায় লালফৌজ। কিন্তু প্যাংগংয়ের দখল এখনও ছাড়েনি তারা।
গত তিন মাস ধরে পূর্ব লাদাখে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ভারত-চিনের মধ্যে টানাপোড়েন চলছে। ক্রমাগত সেনা, যুদ্ধের অত্যাধুনিক সরঞ্জাম মজুত করছিল লালফৌজ। আলোচনা করেও সমস্যা মেটানো যায়নি। বরং দুপক্ষের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে ২০ জন ভারতীয় সেনা শহিদ হন। চিনের তরফে ক্ষয়ক্ষতি হয়। এরপর থেকেই উত্তেজনা প্রশমন দু’দেশের মধ্যে বিভিন্ন স্তরে আলোচনা চলছে।