হাথরাস কাণ্ডে (Hathras Case) নিত্যদিন জন্ম নিচ্ছে নিত্যনতুন বিতর্ক। এতদিন শুধু প্রশ্ন উঠছিল উত্তরপ্রদেশ পুলিশের তদন্ত নিয়ে। এবার সিবিআই (CBI) তদন্ত নিয়েও প্রশ্ন ওঠা শুরু করেছে। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, এই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেওয়ার কয়েকঘণ্টা পরই নাকি সিবিআইয়ের ওয়েবসাইট থেকে মামলায় উধাও হওয়া এফআইআর দায়ের হয়ে গিয়েছে। প্রথমে হাথরাস কাণ্ডে ৩০৭ (খুনের চেষ্টা), ৩৭৬ (ডি) (গণধর্ষণ), ৩০২ (খুন), এবং দলিত নির্যাতন প্রতিরোধ আইনের ৩ (২)(ভি) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছিল। কিন্তু কয়েক ঘণ্টা পরই নাকি সিবিআইয়ের ওয়েবসাইট থেকে মামলাটির একাংশ উধাও হয়ে যায়। যা নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে।
এদিকে, মামলার দায়িত্ব নেওয়ার পরই জোরকদমে তদন্ত শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। গতকালই সিবিআই আধিকারিকরা হাথরাসে পৌঁছে গিয়েছেন। আজ নির্যাতিতার গ্রামে গিয়ে ‘ক্রাইম সিন’ অর্থাৎ যেখানে ঘটনাটি ঘটেছে, সেই জায়গাটা পরিদর্শন করবেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। তাঁদের সঙ্গে এইমসের ফরেনসিক দলের সদস্যরাও থাকতে পারেন বলে জানা গিয়েছে। ক্রাইম সিন পর্যবেক্ষণের পর অভিযুক্তদের সঙ্গেও কথা বলবেন সিবিআই কর্তারা। মথুরা জেলে গিয়ে অভিযুক্তদের নিজেদের হেফাজতেও নিতে পারে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। একটা বিষয় সিবিআই স্পষ্ট করে দিয়েছে, নির্যাতিতা এবং অভিযুক্ত দুই পক্ষের সব অভিযোগ সম্পর্কেই তারা অবহিত। তাই তদন্তও সেভাবেই এগোবে।
এদিকে আজই এলাহাবাদ হাই কোর্টের (Allahabad High Court) লখনউ বেঞ্চে হাজিরা দেবেন নির্যাতিতার পরিবারের সদস্যরা। ১ অক্টোবর তাঁদের তলব করেছিল হাই কোর্টের ওই বেঞ্চ। সেখানে তাঁদের বয়ান রেকর্ড করা হবে। কড়া নিরাপত্তার মধ্যে হাথরাস থেকে লখনউ নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তাঁদের। ইতিমধ্যেই তাঁরা রওনা দিয়েছেন বলে খবর। মামলাটি দুপুর ২টোর পর আদালতে ওঠার কথা। আদালত আরও একবার তাঁদের মুখ থেকে সমস্ত অভিযোগ শুনতে চায়। উল্লেখ্য, এই মামলায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছিল এলাহাবাদ হাই কোর্ট।