মহাকাশে গুরুত্বপূর্ণ অভিযানের জন্য বানানো চিনের ১১০ ফুট লম্বা লং মার্চ ৫বি-র (Long March 5B) বড় অংশটি ধেয়ে আসছে পৃথিবীর দিকে। সম্প্রতি এই খবরে আতঙ্কিত হয়ে যায় বিশ্ববাসী। বিশ্বের একাধিক দেশের তরফে নানান জল্পনা উস্কে দেওয়া হচ্ছিল। মার্কিন সামরিক বাহিনীর আশঙ্কা ছিল এই রকেটের অভ্যন্তরীণ অংশটি তুর্কমেনিস্তানে ভেঙে পড়বে। আবার একাধিক মহল থেকে দাবি করা হয়েছিল ভারতীয় সময় ভোরের দিকেই ভেঙে পড়বে এই রকেট। তবে এটিও বলা হয় যে, চিনের এই বৃহত্তম রকেটের অংশ পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়লেও তাতে মানুষের কোনও ক্ষতি হবে না।
চিনা মহাকাশ গবেষণা সংস্থা প্রতি মুহূর্তে ট্র্যাক করছিল এই রকেটটিকে। কিন্তু গত শুক্রবারই বিদেশ মন্ত্রকের তরফে জানানো হয় রকেটটি পুরোপুরি ভাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে। বিশেষজ্ঞদের মত ছিল, শনিবার সেই রকেটটি বায়ুমন্ডলে ঢুকে পড়বে এবং বায়ুর সাথে ধাক্কা খেয়ে ভস্মীভূত হয়ে যাবে। আর ঠিক সে সময় ওই বিশালাকার রকেটের (China’s biggest Rocket)ধ্বংসাবশেষ আছড়ে পড়বে পৃথিবী পৃষ্টে। এর আগে গতবছরই ভেঙে পড়েছিল আরও একটি চিনা রকেট।
তবে এবার এই রকেটটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সময় মানুষের কোনও ক্ষতি হবে না, তা আগেই বলা হচ্ছিল। কারণ এই রকেটটি যখন বায়ুমন্ডলে ঢুকে পড়বে, তখন তার সামনের অংশটি পুড়ে যাবে এবং বাকি অংশটি পৃথিবীতে আছড়ে পড়ার সময় জ্বলে যাবে। আর তাই নিয়ে যখন গোটা বিশ্ব ভীত। তখন আশঙ্কা মতোই রবিবার পৃথিবীর বুকে আছড়ে পড়ল ওই নিয়ন্ত্রণহীন চিনা রকেটটি। বেজিংয়ের তরফে জানানো হয়, এটি ভারত মহাসাগরের (Indian Ocean) উপর পড়েছে।
চিনা মিডিয়া অনুসারে, এটি ভারতের দক্ষিণ-পূর্বে শ্রীলঙ্কা এবং মালদ্বীপের আশেপাশে কোথাও জলে পড়েছে। ইউএস স্পেস ফোর্সের তথ্য অনুসারে, এটি প্রতি ঘন্টা ১৮ হাজার মাইল গতিতে পৃথিবীর দিকে অগ্রসর হয়েছিল, যার কারণে এটি কোথায় ভেঙে পড়ল তা স্পষ্ট ভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। বর্তমানে আছড়ে পড়ে থেকে কোনও ক্ষয়ক্ষতির খবর জানা যায়নি। এটির চারটি ভাগ ভাগ হয়ে পৃথিবীর দিকে ছুটে আসছিল বলে মনে করা হচ্ছিল। এর মধ্যে তিনটি জলের উপরে এবং একটি মাটিতে রয়েছে বলেই ধারণা করছে বিশেষজ্ঞ মহল।