সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রায়ই বুলিংয়ের শিকার হতে হয় তারকাদের। কেউ এড়িয়ে যান, আবার কেউ বা পালটা তোপ দেগে প্রতিবাদ করেন। কিন্তু সেই আক্রমণ যখন ব্যক্তিগত পর্যায় অবধি এসে পৌঁছয়? টলিউড অভিনেত্রী শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের সঙ্গেও বহুদিন ধরে ঠিক এমনটাই হয়ে আসছিল। যার জেরে এবার বাধ্য হয়ে বাংলাদেশ হাইকমিশনের দ্বারস্থ হলেন অভিনেত্রী।
শ্রাবন্তীর অভিযোগ, বাংলাদেশের বেশ কয়েকটি নম্বর থেকে অনেকদিন যাবৎ অশ্লীল মেসেজ আসছিল তাঁর নম্বরে। শুধু তাই নিয়ে, হোয়াটস অ্যাপ ছাড়াও ফোন নম্বরে ভারতকে গালমন্দ করে অনেক কথা বলা হচ্ছিল। তবে বহুদিন ধরে এমনটা চললেও প্রথমে পাত্তা দেননি তিনি। এদিকে সেসমস্ত ফোন নম্বর ব্লক করেও রেহাই মেলেনি শ্রাবন্তী চট্টোপাধ্যায়ের। পরিবর্তে অন্য নম্বর থেকে মেসেজ আসা শুরু করল। এরপরই রীতিমতো বিরক্ত হয়ে পদক্ষেপ করেন তিনি।
একদিন ফোন ঘাঁটতে গিয়ে সেসব মেসেজ দেখে ভাবেন এই অন্যায়ের বিরুদ্ধে রুখে নেওয়া দরকার। স্বামী রোশনও সায় দিয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছিলেন। কারণ, যা হচ্ছে তা একেবারেই মেনে নেওয়ার মতো নয়। একজনের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিলেই বাকিরাও চুপ হতে বাধ্য! বলে মনে করছেন টলিউড অভিনেত্রী। শ্রাবন্তীর প্রশ্ন, “যাঁরা এটা করছেন, তাঁদের বাড়িতেও তো মা-বোন রয়েছেন। কীভাবে একটা মেয়েকে অপমান করতে পারে এরা?”
এরপরই স্বামী রোশন এবং শ্রাবন্তী অভিযোগ জানানোর সিদ্ধান্ত নেন। যেহেতু বাংলাদেশে তাঁদের পরিচিত মানুষজন রয়েছেন, তাঁদের মাধ্যমেই বাংলাদেশের হাইকমিশনে অভিযোগ করেন অভিনেত্রী। কারণ, শ্রাবন্তীর সাফ কথা, “অন্যায় দীর্ঘদিন ধরে সহ্য করাটাও তো অপরাধ!” যিনি কিনা ইতিমধ্যেই ওপার বাংলার ২ দুটি ছবিতে অভিনয় করে ফেলেছেন। ‘বিক্ষোভ’ নামে ছবিটি মুক্তির অপেক্ষায়, কারণ এখনও শুটিংয়ের কিছু অংশা বাকি। অন্যদিকে ‘যদি একদিন’ সিনেমায় অনেক আগেই বাংলাদেশি দর্শকদের নজর কেড়েছেন তিনি।