বিসিসিআইয়ের কাছে দু’বার আরজি জানিয়েও লাভ হল না। আসন্ন আইপিএলে ধারাভাষ্যকারদের তালিকায় রাখা হচ্ছে না সঞ্জয় মঞ্জরেকরকে বলে খবর। শোনা যাচ্ছে, সংযুক্ত আরব আমিরশাহীতে আইপিএল ১৩ মরশুমের জন্য ধারাভাষ্যকারদের তালিকা চূড়ান্ত করে ফেলেছে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড (BCCI)। আর সেখানে নাম নেই মঞ্জরেকরের। তালিকায় রয়েছেন সাত ভারতীয় প্রাক্তনী।
২০১৯-২০ মরশুমের শেষে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারকে ধারাভাষ্যকারের পদ থেকে বরখাস্ত করেছিল বিসিসিআই। জটিলতা তৈরি হয়েছিল গতবছর বিশ্বকাপ থেকেই। রবীন্দ্র জাদেজাকে ‘নিম্নমানে’র বলে মন্তব্য করেই ক্রিকেটপ্রেমীদের রোষানলে পড়েছিলেন মঞ্জরেকর। যদিও তিনি দাবি করেন, ধারাভাষ্য দেওয়ার সময় এমন কোনও কথা বলেননি। একটি সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন। তবে সেই বিতর্কে ঘি ঢালে পিঙ্ক বল টেস্টে মঞ্জরেকরের মন্তব্য। বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ইডেনে ঐতিহাসিক টেস্টে হর্ষ ভোগলেকে কটাক্ষ করেন তিনি। তাঁর ক্রিকেটীয় শিক্ষা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দেন। একাধিক সমালোচনায় বিদ্ধ হওয়ার পরই তাঁকে সরিয়ে ফেলার সিদ্ধান্ত নেয় বোর্ড।
মঞ্জরেকর জানিয়েছিলেন, বিসিসিআই হয়তো তাঁর কাজ পছন্দ হচ্ছিল না। তাই সেই সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু পরে বোর্ডের কাছে আরজি জানান, যাতে আপন্ন আইপিএলে তাঁকে ফেরানোর কথা ভাবা হয়। তবে যা খবর, ভাগ্যের শিকে হয়তো ছিঁড়ছে না মঞ্জরেকরের। কারণ শোনা যাচ্ছে, যে সাত ভারতীয় প্রাক্তন ক্রিকেটারের নাম বিসিসিআই তালিকায় রেখেছে, সেখানে মুম্বইকরের নাম নেই। রয়েছেন কিংবদন্তি সুনীল গাভাসকর, অঞ্জুম চোপড়া, হর্ষ ভোগলে, দীপ দাশগুপ্ত, রোহন গাভাসকর, মুরলী কার্তিক এবং লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণণ। প্রত্যেকেই নাকি ধারাভাষ্যের জন্য দুবাই উড়ে যাচ্ছেন। যদিও এই তালিকা সরকারিভাবে এখনও ঘোষণা করেনি বোর্ড। তবে মঞ্জরেকরের গলা যে এবার শোনা যাবে না, তা একপ্রকার স্পষ্ট।
এদিকে শোনা যাচ্ছে, দর্শকশূন্য মাঠেই আয়োজিত হবে গোটা আইপিএল। শুরুতে গ্যালারিতে সমর্থক না থাকলেও এমিরেটস ক্রিকেট বোর্ড চেয়েছিল টুর্নামেন্টের পরবর্তী সময় যেন দর্শককে অনুমতি দেওয়া হয়। তবে বর্তমান করোনা পরিস্থিতি দেখেই হয়তো গোটা আইপিএলই ফাঁকা মাঠে আয়োজনের পথে এগোনো হচ্ছে। খবর এমনটাই।