বৃহস্পতিবার রাতেই জাতীয়স্তরের সংবাদমাধ্যম চ্যানেলে মুখ খুলে ফের রাতারাতি সোশ্যাল মিডিয়া ‘সেনশেসন’ হয়ে উঠেছেন রিয়া চক্রবর্তী (Rhea Chakraborty)। গোটা দেশের কাছে তিনি এই মুহূর্তে ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ হলেও খুব ঠান্ডা মাথায় পোড় খাওয়া সাংবাদিকের সমস্ত প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন। তাতেও নেটদুনিয়ার হাত থেকে নিস্তার নেই রিয়ার। আইনের চোখে দোষীসাব্যস্ত হওয়ার আগেই নেটজনতার কাঠগড়ায় তিনি মূল অভিযুক্ত। শুক্রবার সকাল হতেই সিবিআইয়ের তলব মাফিক পৌঁছে গেলেন মুম্বইয়ের ডিআরডিও গেস্ট হাউজে।
সকাল দশটা নাগাদ নিজের বাড়ি থেকে বেরোন রিয়া। এরপর সোজা কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার ডেরায়। যে গেস্ট হাউজে গোয়েন্দা আধিকারিকরা রয়েছেন তদন্তের জন্য। গতকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবারই ভাই সৌহিক চক্রবর্তীকে ১৪ ঘণ্টা ধরে ম্যারাথন জেরা করেছে সিবিআই গোয়েন্দা আধিকারিকরা। মাদকচক্র নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে সুশান্তের (Sushant Singh Rajput) প্রাক্তন ম্যানেজার স্যামুয়েল মিরান্ডাকে। সূত্রের খবর, সিদ্ধার্থ পিঠানিকেও দেখা গিয়েছে ডিআরডিএ গেস্ট হাউজের বাইরে। আজ পুলিশ সুপারিটেন্ডেন্ট নুপূর প্রসাদ, যিনি কিনা সিবিআই টিমকে লিড করছেন, তিনিই রিয়াকে জেরা করবেন। মূল অভিযুক্ত রিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ইতিমধ্যেই সিবিআইয়ের তরফে ২৪ দফা প্রশ্ন সাজিয়ে রাখা হয়েছে বলে খবর। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই সরগরম হয়ে উঠেছে সোশ্যাল মিডিয়া।Advertisementhttps://imasdk.googleapis.com/js/core/bridge3.405.0_en.html#goog_1448539218Buy NowPowered By Sangbad Pratidin x eReleGo
প্রসঙ্গত, গতকালই টিভি চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে সুশান্তের মানসিক অবসাদ নিয়ে মুখ খুলেছিলেন রিয়া। এপ্রসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ২০১৮ সালে ‘মিটু’ অভিযোগ তোলার পর থেকেই সুশান্ত নিজেকে গুটিয়ে নিয়েছিলেন। অভিনেতার উপর খুব বড় এর একটা প্রভাব পড়েছিল বলেও দাবি তাঁর। এমনকী, MeToo নিয়ে সুশান্তের দিকে আঙুল তোলা প্রসঙ্গেও তিনি কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়েছেন সঞ্জনা সাঙ্ঘীকে। কোনওরকম রেয়াত না করেই তাঁর সাফ মন্তব্য, “যিনি শ্লীলতাহানির শিকার হয়েছিলেন বলে দাবী, তিনি কী করে এতবড় একটা অভিযোগ কারও ওপর চাপিয়ে দিয়ে দেড় মাস চুপ করে বসে থাকেন? কই তখন তো কেউ মুখ খোলেননি। সুশান্ত বেচারাকে জনসমক্ষে নিজের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যাট আনতে হয়েছিল বিশ্বাস করানোর জন্য। সেই থেকেই ও আরও বেশি অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে।”