দুদিন আগেই নতুন সংসদ ভবনের ভিত পুজো করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। বলেছেন, আত্মনির্ভর ভারতের চিহ্ন বহন করবে নতুন সংসদ ভবন। এবার কি তবে নতুন জাতীয় সঙ্গীত?
প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে তেমনই দাবি করলেন বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী। তিনি দাবি জানিয়েছেন, জনগণমন-র শব্দ বদল করা হোক।
কেন?
তাঁর যুক্তি জাতীয় সঙ্গীতে সিন্ধু শব্দটি রয়েছে। যেটি স্বাধীন ভারতের অংশ নয়। এ নিয়ে অযথা বিতর্ক তৈরি হচ্ছে। বর্ষীয়ান বিজেপি নেতা এও লিখেছেন, তাঁর এই দাবি দেশের অধিকাংশ যুবদেরও দাবি। ২০২১-এর ২৬ জানুয়ারি গানের শব্দ বদল নিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আর্জি জানিয়েছেন স্বামী।
নির্দিষ্ট প্রস্তাবও দিয়েছেন বিজেপি নেতা। তাঁর কথায়, মণিপুর থেকে ইংরেজদের হঠানোর পর নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর আজাদহিন্দ ফৌজ যে অংশটিকে অনুবাদ করে গাইত সেটিকে জাতীয় সঙ্গীত ঘোষণা করা হোক।
আজাদহিন্দ বাহিনীর জেনারেল মুমতাজ হুসেন ও কর্নেল আবিদ হাসান সাফরানি রবীন্দ্রনাথের গানের হিন্দুস্থানী অনুবাদ করেন। সুর দিয়েছিলেন ক্যাপ্টেন রাম সিংহ ঠাকুর। ৫৫ সেকেন্ডের এই গানটি কাওমি তারানা নামেও পরিচিত। যদিও ওই অংশেও সিন্ধু শব্দটি রয়েছে।
প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি রাজেন্দ্র প্রসাদকে উদ্ধৃত করে স্বামী বলেছেন, “১৯৪৯ সালের ২৬ নভেম্বর রাজেন্দ্র প্রসাদ মন্তব্য করেন, ভবিষ্যতে জাতীয় সঙ্গীতের কিছু শব্দ বদলানো হতে পারে।”
তবে এভাবে জাতীয় সঙ্গীতের শব্দ বদল করা যায় কিনা তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। অনেকে মনে করছেন, বিজেপি নিজের মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করার জন্য এই সমস্ত জিগির তুলছে।