কৃষি আইনের প্রতিবাদে কৃষক সংগঠনের ডাকা ‘ভারত বনধ’-এর ভালোই প্রভাব পড়ল পশ্চিমবঙ্গে। ‘ভারত বনধ’-এর সমর্থনে মঙ্গলবার সকাল থেকেই কলকাতা-সহ রাজ্যের বিভিন্ন জেলায় রেল ও সড়ক অবরুদ্ধ করে বনধ সফল করার চেষ্টা করেছেন সমর্থনকারীরা। মঙ্গলবার সকালেই যাদবপুর স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বামেরা। ফলে ক্যানিং, ডায়মন্ড হারবার, লক্ষ্মীকান্তপুর, সোনারপুর প্রভৃতি শাখার ট্রেন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরে সকাল ৯টা বেজে ৭ মিনিটে যাদবপুরে অবরোধ উঠে যায়। শিয়ালদহ শাখার ডায়মন্ড হারবারে রেল অবরোধ করা হয়।
হোটর এবং বারুইপুরের মধ্যে রেললাইনে কলাপাতা বিছিয়ে বিক্ষোভ দেখানো হয়। বনগাঁ সেকশনের অশোকনগরেও রেল অবরোধ করা হয়। হুগলির রিষড়া স্টেশনে রেল অবরোধ করেন বাম সমর্থকরা। মধ্যমগ্রাম স্টেশনেও রেল অবরোধ করেন বামেরা। আটকে পরে আপ ও ডাউন ট্রেন। অবরোধের জেরে শিয়ালদহ-বনগাঁ ও শিয়ালদহ-হাসনাবাদ ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়।
যাদবপুরের এইট বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে এদিন সকালেই জমায়েত করেন বামপন্থী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা। এলাকায় মিছিল করা হয়। কলেজস্ট্রিট চত্বরের ট্রাম, বাস আটকে দেন বন্ধ সমর্থকরা। ধর্মতলায় বাম ছাত্র-যুব সংগঠন ডিওয়াইএফআইয়ের সদস্যরা রাস্তা অবরোধ করেন। কৃষকদের ডাকা বনধের সমর্থনে লেকটাউন, বাঙ্গুরের যশোর রোড অবরুদ্ধ হয়ে পরে। মোদী, আদানি-অম্বানীর কুশপুতুল দাহ করা হয়। তার জেরে দীর্ঘ সময় যশোর রোডে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়।
জেলায় জেলায় বনধের সমর্থনে প্রতিবাদ-বিক্ষোভ
কেন্দ্রীয় কৃষি আইন প্রত্যাহারের দাবিতে ডোমজুর স্টেশনের কাছে রেল অবরোধ করেন আন্দোলনকারীরা। কাঁধে লাঙল নিয়ে শুরু হয় অবরোধ। দক্ষিণ-পূর্ব রেলের আমত- হাওড়া শাখায় ব্যাহত হয় ট্রেন চলাচল। আটকে থাকে ডাউন আমতা-হাওড়া লোকাল। বাঁকুড়ার গোবিন্দনগর বাস স্ট্যান্ডে পরিবহণ শ্রমিকরা কৃষক আন্দোলনের পাশে থেকে বনধে সামিল হন। বন্ধ থাকে বাস চলাচল।
বীরভূমের রামপুরহাটে বন্ধের সমর্থনে মিছিল করে বাম এবং কংগ্রেস। পুরুলিয়ায় বন্ধের আংশিক প্রভাব লক্ষ্য করা গিয়েছে। বনধের প্রভাব পড়েছে আলিপুরদুয়ারে। ভারত বন্ধের সমর্থনে সকাল থেকে দোকানপাট বন্ধ ছিল সেখানে। সরকারি বাস চললেও সংখ্যায় কম। বেসরকারি বাস চলাচল একেবারেই বন্ধ ছিল। চা বাগানগুলি খোলা থাকলেও, কর্মীর সংখ্যা কম ছিল।