পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-এর তরফে বারবার আবেদন করা সত্বেও কৃষকদের ক্ষোভ মুকেশ আম্বানির টেলিকম সংস্থা জিও-এর ওপর থেকে বিন্দুমাত্র কমেনি। এক রাতেই কৃষকরা ভেঙে দিলেন ১৫০টি জিও-এর টাওয়ার। রাতের অন্ধকারে জিও-এর টাওয়ারের যোগাযোগ স্থাপনকারী সমস্ত তার ছিড়ে দিয়েছে। এই নিয়ে পাঞ্জাবেই এখনও পর্যন্ত মোট ১৩৮৮টি জিও টাওয়ার ধ্বংস করলেন কৃষকরা।
জিও-এর বিরুদ্ধে প্রথম গুজব ছড়ানো হয় দিল্লী সীমান্তের কৃষক বিক্ষোভ থেকেই। বিভিন্ন মহল থেকে আন্দোলনরত কৃষকদের মধ্যে প্রচার চালানো হয় যে মুকেশ আম্বানি ও আদানিকে সুবিধা করে দিতেই নতুন কৃষি আইন পাস করিয়েছেন মোদি। আর আইন যদি দেশে বলবৎ করা হয় তাহলে আম্বানি-আদানিদের দ্বারা কৃষকরা শোষিত হবেন। সেই গুজবের তীব্রতা এতটাই ছিল যে বিক্ষোভরত কৃষকরা জিও নেটওয়ার্ক ছেড়ে সিম পোর্ট করতে শুরু করেন।
কিন্তু সেসব এখন অতীত। এখন কৃষকরা সেসব ছেড়ে জিও কোম্পানির টেলিকম টাওয়ারকে টার্গেট করছেন। একের পর এক টাওয়ারে হামলা চালিয়ে বিভিন্ন সরঞ্জাম ভেঙে দিচ্ছেন কৃষকরা। আর গতকাল রাতেই ক্ষতি করা হয়েছে ১৫০ টি জিও টাওয়ারের। ফলে পাঞ্জাবে ব্যাপক ক্ষতি সম্মুখীন মুকেশ আম্বানির জিও। ভেঙে দেওয়া টাওয়ার ঠিক করতে হিমশিম খাচ্ছেন জিও কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীরা। তবে কৃষকরা যতই প্রতিবাদ করুক, এর মধ্যে আদানি গ্রূপকে নতুন বিদ্যুৎ সাপ্লাইয়ের কন্ট্রাক্ট দিয়েছেন পাঞ্জাবের কংগ্রেসি মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং।