ইমরান খান যখন অন্য দেশগুলির বিরুদ্ধে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ তোলে তখন পাকিস্তানে প্রতিদিন নির্যাতিত হন সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষরা। তাঁদের বাড়ির মেয়েদের অপহরণের পর ধর্মান্তরিত করে বিয়ের ঘটনা তো হামেশাই ঘটে সেখানে। এবার পাকিস্তানের জাতীয় সংসদের এক সদস্যের কর্মচারীর বিরুদ্ধে বাড়ি ঢুকে এক হিন্দু নাবালিকাকে অপহরণের অভিযোগ উঠল। ঘটনাটি ঘটেছে পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশের কুনরি এলাকায়।
সম্প্রতি ওই নাবালিকাকে অপহরণ করার বিষয়ে টুইটারে দুটি পোস্ট করেছেন পাকিস্তানের একজন সমাজসেবী রাহাত অস্টিন। তার একটিতে তিনি উল্লেখ করেছেন, সম্প্রতি স্থানীয় সাংসদ নবাব ইউসুফ তালপুরের (Nawab Yousaf Talpur) এক কর্মচারী মহম্মদ মাজিদের (Muhammad Majeed) নেতৃত্ব কুনরি গ্রামের একটি বাড়িতে ঢুকে ১৫ বছরের মোমাল কোহলিকে তুলে নিয়ে যায় একদল দুষ্কৃতী। মেয়েটির পরিবারের তরফে স্থানীয় থানায় এই বিষয়ে অভিযোগ জানানো হলেও এখনও পর্যন্ত কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।
অন্য একটি টুইটে মেয়েটির বাবার একটি ভিডিওবার্তা প্রকাশ করে রাহাত। তাতে মেয়েটির বাবা চান্দের কোহলিকে বলতে শোনা যাচ্ছে, কয়েকদিন আগে আচমকা তাঁদের বাড়ি ঢুকে ১৫ বছরের নাবালিকা মেয়েকে তুলে নিয়ে যায় একদল দুষ্কতী। তাদের নেতৃত্ব দিচ্ছিল স্থানীয় সাংসদ নবাব ইউসুফ তালপুরের এক কর্মচারী মহম্মদ মাজিদ। ধৃতরা ওই নাবালিকাকে ধর্ষণের পর ধর্মান্তরিত করবে বলেও চান্দের কোহলির অভিযোগ।