একজন মানুষের সবচেয়ে ব্যক্তিগত পরিসর শৌচালয় (Toilet)। উপস্থিত থাকাকালীন ব্যক্তিগত পরিসর সম্পর্কে আর পাঁচটা মানুষ সব কিছু জানতে পারুক, তা চান না কেউ। শৌচালয় যতটা সম্ভব পরিষ্কার রাখারই ভাবনাচিন্তা করেন বেশিরভাগ মানুষ। তবে সুলভ শৌচালয়ের ক্ষেত্রে সে কল্পনাই যেন বৃথা। ঘিঞ্জি, অপরিষ্কারই তার বৈশিষ্ট্য। প্রয়োজন পড়লে অবশ্য কষ্ট করে ওই অপরিচ্ছন্ন শৌচালয়ও ব্যবহার করেন অনেকেই। সেই শৌচালয়েও যাতে গোপনীয়তা বজায় রাখার বন্দোবস্ত থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখেন ব্যবহারকারী। তবে শৌচালয় যদি হয় স্বচ্ছ কাচের, কেমন হবে ভেবে দেখেছেন কখনও? স্বচ্ছ শৌচালয়ে ঢোকার সাহস হবে আপনার? টোকিওর এক পার্কের স্বচ্ছ কাচের তৈরি শৌচালয় নিয়েই আলোচনায় মজেছে নেটদুনিয়া।
টোকিওর ওই শৌচালয় ঝাঁ চকচকে বাড়িকেও হার মানায়। স্বচ্ছ, রঙিন কাচে ঘেরা ওই শৌচালয়। নানা ধরনের আলোও ব্যবহার করা হয়েছে। পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা নিয়েও নতুন করে বলার কিছু নেই। তাই আপাতদৃষ্টিতে ব্যবহারে কোনও সমস্যা নেই। কিন্তু কেউই সাহস করে ব্যক্তিগত পরিসরে পা রাখতে পারছেন না। তার কারণ স্বচ্ছ কাচ। অনেকেই ভাবছেন, শৌচালয়ে ঢুকে কী করছি না করছি তা সকলে জেনে ফেললে লজ্জার শেষ থাকবে না। তাই তো টোকিওর (Tokyo) পার্কের ওই শৌচালয়ের আশেপাশে মানুষ ভিড় জমালেও ভিতরে ঢোকার সাহস দেখাতে পারছেন না অনেকেই। সম্প্রতি এমনই বেশ কয়েকটি ছবি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরালও হয়ে গিয়েছে।
শৌচালয় নির্মাণকারী সংস্থা অবশ্য সাধারণ মানুষের আশঙ্কা দূর করতে প্রযুক্তির পর্দাফাঁস করেছে। ওই সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, এই শৌচালয়ে ঢুকে দরজা বন্ধ করে দিলেই কেল্লাফতে। প্রযুক্তির জাদুতে সঙ্গে সঙ্গে স্বচ্ছ কাচ পরিণত হবে অস্বচ্ছ কাচে। তার ফলে আপনি শৌচালয়ে ঢুকে যাই করুন না কেন, তা কারও পক্ষেই জানা সম্ভব হবে না।
তবে প্রযুক্তির পর্দাফাঁস হওয়ার পরেও ওই শৌচালয় ব্যবহারের সাহস পাচ্ছেন না অনেকেই। ভিতরে ঢুকে দরজা বন্ধ করার পরেও যদি অস্বচ্ছ কাচে পরিণত না হয় শৌচালয়, সেই আশঙ্কাই তাঁদের মনে ঘুরপাক খাচ্ছে। তবে এক একজন অবশ্য বেশ সাবলীল ভঙ্গিমায় শৌচালয়ে ঢুকছেন। শৌচালয় ব্যবহার করে হাসতে হাসতে বেরোচ্ছেন তাঁরা।