তৈরি হবে নতুন সংসদ ভবন। ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে আনা হয়েছে সেই ছবি। ১০ ডিসেম্বরেই শিলান্যাস করবেন মোদী।
শনিবার লোকসভার স্পিকার ওম বিড়লা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাত্ করেন। নতুন সংসদ ভবনের ‘ভূমিপূজা’র জন্য প্রধানমন্ত্রীকে আমন্ত্রণ জানান তিনি। স্পিকার জানিয়েছেন, সব রাজনৈতিক দলকে ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হবে। করোনা বিধি মেনে অনুষ্ঠানে শারীরিকভাবে ও ভার্চুয়ালি উপস্থিত থাকবেন অনেকে।
নতুন সংসদ ভবন হবে আগের থেকে অনেক বড়। লোকসভায় ৮৮৮ জন সাংসদ বসতে পারবেন। রাজ্যসভায় ৩২৬ জনের আসন থাকবে। বর্তমানে লোকসভার সদস্য সংখ্যা ৫৪৩, আর রাজ্যসভার ২৪৫। ভবিষ্যতে আসন পুনর্বিন্যাসের পর দুই কক্ষেই সাংসদের সংখ্যা বাড়বে। ২০২২ সালের মধ্যে নতুন ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হয়ে যাবে বলে জানা গিয়েছে।
রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে মোট ১২২৪ জন সাংসদ বসতে পারবেন নতুন সংসদ ভবনে। ৮৬১ কোটি ৯০ লক্ষ টাকার বরাতে সংসদ ভবন তৈরি করছে টাটা গ্রুপ। নতুন সংসদ ভবনের জন্য আনুমানিক ব্যয় হবে ৯৭১ কোটি টাকা।
নতুন ভবনে প্রত্যেক সাংসদের জন্য কার্যালয় থাকবে। নিজস্ব অফিসে থাকবে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মেশিন। সেগুলি হবে পেপারলেস অফিস। অর্থাত্ পুরো কাজ হবে যন্ত্রের সাহায্যে, ডিজিটাল প্রক্রিয়ায়। নতুন ভবনের নির্মাণ কার্যে প্রত্যক্ষভাবে ২ হাজার লোক কাজ করবেন, এছাড়াও পরোক্ষভাবে কাজ করবেন ৯ হাজার লোক। সংবিধান হলঘর, সাংসদ লাউঞ্জ, খাবার জায়গা, গ্রন্থাগার, পার্কিং লট সবই তৈরি হবে। নতুন ভবনটি ত্রিভুজাকৃতির হবে।
৬৪,৫০০ স্কোয়্যার মিটার এলাকা জুড়ে নয়া ভবনের কাজ চলবে। নতুন সংসদ ভবনটি তৈরির বরাত পেয়েছে টাটা প্রজেক্ট। সংসদের বর্তমান ভবনটি তৈরি হয়েছিল ১৯২১ সালের ১২ ফেব্রুয়ারি। শেষ হয় ৬ বছর পর ১৯২৭ সালে। সেই সময়ে সংসদ ভবনের জন্য ব্যয় হয়েছিল ৮৩ লক্ষ টাকা। নকশা এঁকেছিলেন দুই ব্রিটিশ স্থপতি স্যর এডউইন লুটিয়েন্স ও স্যর হার্বার্ট বেকার।