নতুন শ্রম আইনে পরিবর্তন আসবে কাজের ধরণে। প্রস্তাবিত শ্রম আইনে বলা হয়েছে এবার থেকে সপ্তাহে কাজের দিন কমিয়ে ৪দিন করা যেতে পারে। তবে সেক্ষেত্রেও সাপ্তাহিক মোট কাজের ঘন্টা অবশ্য একই রাখতে হবে অর্থাৎ ৪৮ ঘন্টা। সংস্থাগুলির জন্য সরকার এবার এমনটাই ভেবেছে। সেক্ষেত্রে সাপ্তাহিক কাজের দিন ৪দিনে কমিয়ে এনে তিনদিন সবেতন ছুটি পাবে কর্মীরা।
আরও বলা হয়েছে এবার থেকে নির্দিষ্ট সময়ের বাইরে ১৫ মিনিট অতিরিক্ত কাজ করলেই. সেই কাজের টাকা পাবেন কর্মীরা। কর্মী স্বার্থ সুরক্ষিত রাখতে এরকমই একাধিক পদক্ষেপ নিচ্ছে কেন্দ্র বলে জানা গিয়েছে। এই নতুন শ্রম আইন বাস্তবায়িত করতে চাইছে কেন্দ্র, সেই প্রক্রিয়া চলছে।
জানানো হয়েছে ১৫ মিনিট অতিরিক্ত কাজ করলেই তা ওভারটাইম বলে গণ্য করা হবে। পাশাপাশি, নতুন শ্রম নিয়মে সব কর্মীকে পিএফ ও ইএসআইয়ের সবরকম সুবিধা দিতে বাধ্য থাকবে কোম্পানিগুলি। কোনও সংস্থা তৃতীয় পক্ষ বা চুক্তিভিত্তিক নিয়োগের বাহানায়, অজুহাত দেখিয়ে পিএফ ও ইএসআইয়ের সবরকম সুবিধা দেওয়া থেকে বঞ্চিত রাখতে পারবে না, নতুবা কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। চুক্তিভিত্তিক কর্মী অথবা তৃতীয় পক্ষ মারফত নিয়োগ হওয়া কর্মীদের পুরো মাইনে দিতে বাধ্য থাকবে কোম্পানি।
শ্রম আইনে জানানো হয়েছে, কাজের দিনের ব্যাপারে আরও নমনীয় হতে পারা যাবে । যদি কোনও সংস্থা চায় সাপ্তাহিক কাজের জন্য ৪দিন ধার্য করে বাকী তিনদিন অফ ডে করে দেবে তা তাদের করতে দেওয়া যেতে পারে। একেবারে নয়া শ্রমবিধিতে তা আনার আগে কাজের দিনের ক্ষেত্রে এই নমনীয়তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হবে।
শ্রম সচিব জানিয়েছেন, কাজের দিনের ক্ষেত্রে নমনীয়য়তা দেওয়া গেলেও কোনও কর্মীকে গোটা সপ্তাহে ৪৮ ঘন্টার বেশি কাজ করতে হবে না। এই কাজের সময়ের মধ্যেই রাখা হবে সাময়িক বিশ্রাম এবং কাজের সময়টা কখনও কোনওদিন তা ১২ ঘন্টা পেরিয়ে যাবে না।
আপাতত এই বিধি তৈরির প্রক্রিয়া চলছে এবং আশা করা হচ্ছে তা কিছু দিনের মধ্যে তৈরি হবে।শ্রম সচিব জানিয়েছেন, বিধি হওয়ার আগে এই বিষয়ের সঙ্গে স্বার্থ জড়িত সকলের সঙ্গে আলোচনা করা হবে । শ্রমমন্ত্রক শীঘ্রই যে বিধিগুলি আনতে চলেছে সেগুলি হল- মজুরি, শিল্পসম্পর্ক,পেশাগত সুরক্ষা,স্বাস্থ্যও কাজের শর্ত এবং সামাজিক নিরাপত্তা। এই সব বিধি পয়লা এপ্রিল থেকে প্রয়োগের কথা ভাবা হয়েছে ।